বাড়িতে ভবঘুরে ঢুকে পড়েছে, ঘরে ঘুরছে, স্বামীদের ছবি পাঠিয়ে বিব্রত করছেন মহিলারা
স্বামীরা তখন কাজে ব্যস্ত। হঠাৎ তাঁদের কাছে বাড়ি থেকে আসছে ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে তাঁর বাড়িতে ভবঘুরে ঢুকে পড়েছে। অনেক স্বামী তো আতঙ্কে পুলিশে ফোন করছেন।
কাজে ব্যস্ত। এমন সময় ফোনে একটা ছবি বা ভিডিও এল। পাঠিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। ফলে যে কোনও ব্যক্তি সেটা খুলে দেখার চেষ্টা করেন কি ব্যাপার। ছবি বা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তাঁর বাড়িতে কোনও ভবঘুরে ঢুকে পড়েছে। তাঁর ঘরে ঘোরাঘুরি করছে।
বাড়ি থেকে স্ত্রীর পাঠানো সেই ছবি বা ভিডিও কর্মস্থলে বা দূরে থাকা স্বামীকে চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে। অনেকসময় তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। স্ত্রীর সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত হচ্ছেন। চুরি, ডাকাতি হতে পারে, সেটাও মাথায় কাজ করছে।
ভয়ে তাঁরা অনেকে পুলিশেও ফোন করে দেন। কিন্তু পুলিশ এসে জানতে পারে এমন কেউই সেখানে প্রবেশ করেনি। বরং যে ছবি বা ভিডিও ওই ব্যক্তি দেখার পর আতঙ্কে পুলিশে ফোন করেছিলেন সেটা আসল নয়, কৃত্রিম মেধা বা এআই দিয়ে বানানো। আর সেটা তৈরি করছেন আর কেউ নন বরং তাঁদেরই স্ত্রীরা।
স্বামী বাড়িতে ভবঘুরে ঢুকে পড়েছে দেখে কি করেন সেটা দেখার জন্য চিনে অনেক মহিলা এআই দিয়ে এমন ছবি বানিয়ে স্বামীকে পাঠাচ্ছিলেন। এটা তাঁদের জন্য একটা নিছক মজা হলেও তা চিনা প্রশাসন ভাল চোখে নিচ্ছে না। কারণ ওই ব্যক্তি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। পুলিশে ফোন করছেন।
বাড়ির নিরাপত্তা, বাড়ির সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নে আপস না করে পুলিশে ফোন পুলিশকেও তৎপর করছে। পুলিশ হাজির হচ্ছে সেই বাড়িতে। কিন্তু পরে বুঝতে পারছে পুরোটাই মজা। এতে দেশের পুলিশ প্রশাসনের সময় নষ্ট হচ্ছে।
এটা চলতে পারেনা বলে ইতিমধ্যেই এই প্রবণতায় রাশ টানতে পুলিশ কড়া মনোভাব দেখিয়েছে। এমন করলে কঠোর সাজার বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে এই সংবাদটি প্রকাশ পাওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই সংবাদ।
এদিকে চিনের মহিলাদের এই মজা করার নতুন ধরণ দেখে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতেও কোথাও কোথাও এভাবে স্বামীদের বিব্রত করতে শুরু করেছেন তাঁদের স্ত্রীরা।













