শ্বশুরের অন্ত্যেষ্টিতেই পর্দা ফাঁস, স্বামীর গোপন প্রেমিকার কথা সকলকে জানিয়ে দিলেন স্ত্রী
তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের জীবনাবসান হয়েছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হাজির হয়েছেন অনেকেই। সেখানেই হাজির হলেন এক অজ্ঞাত পরিচয় নারী। দেখার পরই পর্দা ফাঁস করে দিলেন স্ত্রী।

তাঁর বিবাহিত জীবন ১৯ বছরের। এই ১৯ বছরে তাঁর নানা সময় নানা সন্দেহ দানা বেঁধেছে। কিন্তু মুখে কিছু বলেননি। স্বামী মাঝে মাঝেই বলেন তাঁর অফিসের চাপ। তাই বেশ কিছুদিন তিনি বাড়ি ফিরবেন না।
সেটা যে সত্যিই অফিসের চাপ, নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে একটা সন্দেহ চিরকালই ছিল মহিলার। কিন্তু স্ত্রী হিসাবে তিনি তাঁর কর্তব্য করে গেছেন। তাঁর শ্বশুর মশাইয়ের জীবনাবসানের পর তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন।
পরিবার, স্বজন, বন্ধু সকলেই। সেখানেই তাঁর শ্বশুরের কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে এক মহিলাকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখেন ওই মহিলা। স্বামীকে জিজ্ঞাসা করেও সদুত্তর পাননি।
অথচ ওই ক্রন্দনরত মহিলা নিজেকে পরিবারের একজন বলেই দাবি করছিলেন। তখনই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যায়। এটা অবশ্য অনেকদিন আগের কথা। তারপরই ওই মহিলা স্বামী গোপনে প্রেম করছেন বলে দাবি করে আদালতে যান।
চিনের শানদং প্রদেশের এই ঘটনা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক সংবাদমাধ্যমেই জায়গা করে নেয়। বিষয়টি আদালতে যাওয়ার পর খোঁজ শুরু হয়। তাতেই জানা যায় বিয়ের ৩ বছর পর থেকেই ওই মহিলার সঙ্গে গোপনে প্রেম করছিলেন ওয়াং নামে ওই ব্যক্তি।
অন্য শহরে প্রেমিকাকে রেখেছিলেন তিনি। কেউ যাতে জানতে না পারে। সেখানেই মাঝে মাঝে অফিসের কাজ বলে থেকে আসতেন। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। অনেক নথিতেই প্রেমিকাকে স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে সইও করেছিলেন ওয়াং।
বিয়ে না হলেও আদালতের কাছে পরিস্কার হয়ে যায় ওয়াং স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পূর্ণ বৈবাহিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওয়াংকে এই অপরাধের জন্য ১ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেয় আদালত। ওয়াংয়ের পিতার অন্ত্যেষ্টিই তাঁর গোপন প্রেমের কথা ফাঁস করে দিল।