World

সকলের চোখে সেরা স্বামী, স্ত্রীকে বুঝতেই দিলেন না অন্ধত্বের জ্বালা

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হওয়া উচিত এমনই। কিন্তু বাস্তবে তা কমই দেখা যায়। তবে এই ব্যক্তি স্ত্রীকে বুঝতেই দিলেন না অন্ধত্বের যন্ত্রণা। সকলের চোখে হয়ে উঠলেন সেরা স্বামী।

Published by
News Desk

তাঁদের যখন ২০০৮ সালে বিয়ে হয় তখন সব ঠিক ছিল। তারপর তাঁদের একটি মেয়ে হয়। দিনগুলো বেশ চলে যাচ্ছিল। ২০১৩ সালে একটা অসুখ হয় যুবতীর। স্বামী তাঁকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। জানতে পারা যায় এক কঠিন চোখের রোগে আক্রান্ত তিনি।

তাঁর দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। যা বাঁচানো অসম্ভব। তবু অনেক খরচ করে স্ত্রীর চোখ বাঁচানোর চেষ্টা করেন স্বামী। সব চেষ্টা বিফলে যায়। ২০১৪ সালে সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টিশক্তি হারান ওই মহিলা।

এক সুন্দর পরিবারে নেমে আসে গাঢ় অন্ধকার। ওই ব্যক্তি এরপর নিজের জীবনটা বদলে নেন। স্ত্রীকে জানিয়ে দেন তিনি একা নন। তাঁর পাশে তাঁর স্বামী চিরকাল থাকবেন। যেখানে যাবেন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই যাবেন। একসঙ্গে সময় কাটাবেন। বাড়ির কাজও একসঙ্গে করবেন।

ঘর এমনভাবে সাজিয়ে ফেলেন যাতে স্ত্রীর হাঁটাচলা করতে কোনও সমস্যা না হয়। এভাবেই চলতে থাকে। এতদিন এভাবেই চলেছে। চিনের শানদং প্রদেশের কিউইংদাও শহরে ওই ব্যক্তির গাড়ি সারানোর দোকান রয়েছে। যেখান থেকে তাঁর এখন রোজগারও ভালই হচ্ছে।

স্ত্রীর সঙ্গে সর্বদা নিজেকে জড়িয়ে রাখেন ওই ব্যক্তি। যাতে স্ত্রীকে কখনও অন্ধত্বের যন্ত্রণা ভোগ করতে না হয়। একসঙ্গে তাঁরা রান্নাও করেন। বেড়াতেও যান। মেয়ের সঙ্গেও সময় কাটান।

নেটিজেনরা ওই ব্যক্তিকে সেরা স্বামীর তকমা দিয়েছেন। এই দাম্পত্যের কাহিনি চিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সহ নানা জায়গায় প্রকাশিত হয়েছে।

Share
Published by
News Desk
Tags: China