World

সুন্দরী হয়ে স্বামীকে কাছে পেতে জমানো অর্থ, নাতির পড়ার খরচ, সব খোয়ালেন প্রৌঢ়া

কেবল কথায় ভুলে নিজের জমানো অর্থ, নাতির জন্য রাখা পড়ার খরচ, সব খোয়ালেন এক প্রৌঢ়া। তাঁকে যা বোঝানো হয় তাও হতবাক করছে মানুষকে।

তাঁর মুখে বলিরেখা দেখা দিয়েছে। যা মুছে দেওয়া সম্ভব। বার্ধক্যের চিহ্ন মুছে তাঁকে ফের সুন্দর করে দেওয়া যাবে। যা তাঁকে ফিরিয়ে দেবে তাঁর সৌন্দর্য। তবে শুধুই সৌন্দর্য নয়, তাঁর ভাগ্যও ফিরিয়ে দেবে এই বলিরেখা মুক্তির চিকিৎসা।

বলিরেখাগুলি মুছে গেলে, বিশেষত তাঁর কপালের ভাঁজে স্পষ্ট বলিরেখা মুছে গেলে তাঁর সন্তানদের ভাগ্যও বদলে যাবে। তাঁর নাকটা চ্যাপটা থেকে কিছুটা ঠিক হলে তাঁর অর্থভাগ্যও খুলে যাবে।

এখানেই শেষ নয়, প্রৌঢ়াকে বোঝানো হয় যে তিনি বলিরেখা থেকে মুক্তি পেলে তাঁর স্বামী তাঁকে ঠকাবেন না। দুজনের দৈহিক সম্পর্কের জীবনও ভাল হবে। সবটাই তাঁকে বোঝানো হয় একটি বিউটি ক্লিনিকে।


প্রৌঢ়াকে এটাও বলা হয় যে তিনি টাকা দিলে তখনই তাঁর চিকিৎসা শুরু করে দ্রুত তাঁকে বলিরেখা মুক্ত সুন্দরী করে তোলা সম্ভব। এমনই দাবি করেছেন চিনের হেনান প্রদেশের বাসিন্দা এক ৫৮ বছর বয়সী প্রৌঢ়া।

তাঁর কাছ থেকে ফোন নিয়ে পেমেন্টও করিয়ে নেন ওই ক্লিনিকের কর্মীরা বলে অভিযোগ। সেই অঙ্কটা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। যা ওই প্রৌঢ়ার দীর্ঘদিনের সঞ্চয় এবং তাঁর নাতির পড়ার খরচ।

ওই টাকা নিমেষে গায়েব করে দেয় ওই ক্লিনিক। তারপর যে চিকিৎসা করে সেটায় তাঁর শারীরিক সমস্যাও শুরু হয়। ওই প্রৌঢ়ার মেয়ে সবটা জানার পর টাকা ফেরত চান ওই ক্লিনিকের কাছে। কিন্তু তারা তা দিতে অস্বীকার করে।

ভাগ্য ফেরানো, স্বামীকে কাছে পাওয়া, নিজেকে সুন্দর করে তোলার প্রলোভনে সাড়া দিয়ে কার্যত সর্বস্ব খোয়ালেন ওই প্রৌঢ়া। ঘটনাটি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। রীতিমত আলোড়নও ফেলে দিয়েছে এই খবর।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *