জঙ্গলে পরিণত হল একটা জলজ্যান্ত গ্রাম, কেন এ গ্রামের এমন দশা
এ এক আজব গ্রাম। ১৯৯০ সালেও এ গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে মানুষ থাকতেন। গমগম করত চারধার। তারপর এমন কি হল যে এখন জনহীন হয়ে সবুজের দখলে চলে গেছে গ্রামটা?

অনেকে একে বলেন ভূতুড়ে গ্রাম। আসলে সেখানে মানুষের বাস নেই। একা পড়ে থাকে মানুষের বাসস্থান। গাছপালা ডালপালা মেলে আঁকড়ে ধরে ইটের দেওয়াল। হাঁক দিলেও কোনও মানুষের দেখা মেলেনা।
আচমকা এ গ্রামে নিয়ে গেলে কিন্তু চোখ জুড়িয়ে যেতে পারে। একের পর এক বাড়ি। পাকা বাড়ি। তবে অনেক ক্ষেত্রে টালির চাল। বাড়িগুলোর দেওয়াল ঘন সবুজ। রং নয়, প্রকৃতি আপন খেয়ালে বছরের পর বছর ধরে সেখানে গাছে গাছে সাজিয়ে ফেলেছে।
হঠাৎ দেখলে মনে হবে এ গ্রামে একটা দুটো দিন কাটিয়ে গেলে মন্দ হয়না। বাড়িগুলো যেন সবুজ গাছে সাজানো হয়েছে। এমনই পরিপাটি হয়ে সবুজে ঢেকেছে বাড়ির দেওয়াল।
তবে ফাঁকা আছে জানালা, দরজা। কিন্তু একজন মানুষও সেখানে থাকেন না। সেক্ষেত্রে সে গ্রামকে ভূতুড়ে না বলার কোনও কারণ নেই। কিন্তু এ গ্রামের এমন হাল আগে ছিলনা।
চিনের শেংশান দ্বীপে অবস্থিত এই গ্রামে একসময় অনেক মানুষের বাস ছিল। অধিকাংশ মানুষের পেশা ছিল মাছধরা। এটাই ছিল তাঁদের প্রধান জীবিকা। কিন্তু সময়ের হাত ধরে রোজগার কমতে থাকে।
গ্রামের মানুষ এক এক করে রোজগারের আশায় মৎস্যজীবীদের অন্য সব বড় গ্রামগুলিতে চলে যেতে থাকেন। এমন করে ১৯৯০ সালে এ গ্রাম প্রায় ফাঁকাই হয়ে যায়। ফাঁকা বাড়িগুলো কেবল পড়ে থাকে নিজেদের মত। যার দখল ক্রমশ চলে যায় প্রকৃতির হাতে।
এখন এ গ্রামে কেউ থাকেন না ঠিকই, তবে অনেক পর্যটক এখানে হাজির হন এই গ্রামের সারি দেওয়া বাড়ি ও তার গা জুড়ে সবুজের বাহার দেখতে। যা কোনও মানুষ সাজাননি। সাজিয়ে দিয়েছে খোদ প্রকৃতি।