১২ কোটির লক্ষ্যে বিত্তশালীদের বাড়ি ফাঁকা করা তরুণীর জারিজুরি ফাঁস করল লুকোনো ক্যামেরা
এক মহিলা একটি লক্ষ্য স্থির করেছিল। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করতে শঠতার আশ্রয় নেয় সে। কিছুটা সাফল্যও আসে। শেষে তাকে ধরিয়ে দিল লুকোনো ক্যামেরা।

একটি গ্রামে জন্ম তার। কিন্তু স্বপ্ন ছিল শহরের বর্ধিষ্ণু এলাকায় বহুমূল্য ফ্ল্যাট কেনা। বিত্তশালীদের সঙ্গে ওঠা বসা করা। এজন্য কঠোর পরিশ্রম ও সৎ পথে লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা সে করতেই পারত। চেষ্টা করেও। কখনও হোটেলে কাজ তো কখনও অন্য কিছু। তাতে কিন্তু তার লক্ষ্য পূরণের ধারেকাছেও পৌঁছচ্ছিল না জমানো অর্থ।
তবে চেষ্টা সে চালিয়ে যেতেই পারত। তা না করে সে অন্য পথ নিল। প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চেহারা বদল করল। তালিম নিল উচ্চবিত্তদের সঙ্গে ওঠা বসার। শিখল যাবতীয় আদবকায়দা। তারপর ধনী মানুষদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করতে শুরু করল।
ঘনিষ্ঠতা এমন পর্যায়ে নিয়ে গেল যে তাঁরা তাকে নিজের বাড়িতে জায়গা দিলেন। এটাই চাইছিল ওই তরুণী। ভারতীয় মুদ্রায় তাকে ১২ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে হবে। সেজন্য বিত্তবান মানুষদের সঙ্গে তাঁদের বাড়িতে থাকতে শুরু করল।
আর এক সময় বাড়ি ফাঁকা দেখে সর্বস্ব লুঠ করে পালাতে লাগল। এমন করে ৮ জন ধনী মানুষের বাড়ি ফাঁকা করে দেয় সে। কিন্তু নবমেই গেল আটকে। এক ধনী মানুষ ওই তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখলেন ঠিকই, কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় বাড়িতে লুকোনো ক্যামেরা লাগিয়ে তরুণীর ওপর নজরদারিও করতে থাকলেন।
ওই ব্যক্তি বাড়িতে না থাকাকালীন তরুণী তার পুরনো কায়দা শুরু করল। সে বাড়ি ফাঁকা করা শুরু করে। ক্যামেরায় তা ধরা পড়তে তাকে পাকড়াও করতে সময় লাগল না।
চিনের শেনঝেন প্রদেশে ওই চিনা তরুণীর বাড়ি কেনার স্বপ্ন বাস্তব হল না। এখন সে গারদের পিছনে। ধনী সেজে ধনীদের লুঠ করে বাড়ি কেনার চেষ্টার এই কাহিনি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এ প্রকাশিত হয়েছে।