জড়িয়ে ধরার জন্য পুরুষদের ৬০০ টাকা করে দিচ্ছেন মহিলারা, নতুন ট্রেন্ড
পুরুষরা তাঁদের জড়িয়ে ধরবেন। এজন্য মহিলারা তাঁদের ৬০০ টাকা করে দেবেন। মহিলাদের এই ইচ্ছাপূরণ এখন নতুন এক ট্রেন্ড তৈরি করল।

মহিলাদের রাস্তায় জড়িয়ে ধরলে কোনও পুরুষের কপালে গণধোলাই লেখা থাকতে পারে। গারদ প্রাপ্তিও হতে পারে। কিন্তু একটি দেশে একদম উল্টো হচ্ছে। মহিলারাই তাঁদের জড়িয়ে ধরার জন্য পুরুষদের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন। তবে খালি হাতে নয়।
মহিলাদের মিনিট ৫ জড়িয়ে ধরার জন্য পুরুষদের ৬০০ টাকা পর্যন্ত প্রাপ্তি যোগ রয়েছে। ওই মহিলা তাঁকে জড়িয়ে ধরার জন্য পুরুষদের এই টাকা দিচ্ছেন। সহজ করে বললে মহিলারা টাকা দিয়ে পুরুষদের বাহুডোরে আবদ্ধ হচ্ছেন স্বদিচ্ছায়।
কিন্তু একজন মহিলা কেন এক অচেনা পুরুষকে টাকা দিয়ে জড়িয়ে ধরার অনুমতি দিচ্ছেন? চিনে এই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। যেখানে তরুণী থেকে যুবতী, নানা বয়সের মহিলাই তাঁদের ওপর তৈরি হওয়া নানা ধরনের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে পুরুষদের বাহুডোরে আবদ্ধ হতে চাইছেন। তাতে তাঁরা হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছেন বলে মত।
এই পুরুষদের বেছে নিচ্ছেন মহিলারাই। একটি চ্যাট অ্যাপের সাহায্যে পেশিবহুল পুরুষদের বেছে নিচ্ছেন তাঁরা। যাঁরা জড়িয়ে ধরার পর মহিলাদের পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। যাতে মহিলারা মানসিক অবসাদ থেকে শান্তি পান।
পুরুষদের শক্ত বাহুডোরের আলতো উত্তাপের ছোঁয়ায় মহিলারা নিজেদের আরও সুরক্ষিত অনুভব করছেন। চিনের তরুণীদের মধ্যেই এই টাকা খরচ করে পুরুষদের বাহুডোরে আবদ্ধ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
সাধারণত সাবওয়ে বা কোনও শপিং মলের মত জনবহুল এলাকাকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে এই জড়িয়ে ধরার স্থান হিসাবে। আগে থেকেই অ্যাপের মাধ্যমে মহিলারা পুরুষদের বাছাই করে নিচ্ছেন।
তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় অর্থ ব্যয় করে তাঁরা ওই পুরুষের বাহুডোরে মিনিট পাঁচেক সময় কাটাচ্ছেন। এই খবরটি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এ প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।