বিয়ে না করলে চাকরি যাবে, বিয়ের টার্গেট দিয়ে কর্মীদের স্পষ্ট করে দিল সংস্থা
সাধারণত সংস্থায় কর্মরতদের ব্যবসার টার্গেট স্থির করে দেয় প্রতিটি সংস্থা। কর্মীদের চাপে রাখে। একটি সংস্থা ব্যবসার নয় কর্মীদের বিয়ের টার্গেট বেঁধে হইচই ফেলে দিল।

যে কোনও সংস্থাই চায় মুনাফা। কর্মীদের লক্ষ্যমাত্রা ও সময়সীমা বেঁধে দেন সংস্থার কর্তারা। কর্মীদের যথেষ্ট চাপে রাখেন যাতে তাঁরা এতটুকু গাফিলতি না করে কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হন। সংস্থার মুনাফাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারেন। ব্যবসা বাড়াতে পারেন।
কিন্তু তারমধ্যেও ব্যতিক্রম থাকে। একটি সংস্থা সেই ব্যতিক্রমী এক চমক দিল। একটি সংস্থায় এখন প্রায় ১২০০ কর্মী কাজ করেন। সংস্থা সকলকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কর্মীদের মধ্যে যাঁরা অবিবাহিত বা ডিভোর্সি তাঁদের অবিলম্বে বিয়ে করতে হবে। সংসার পাততে হবে।
শুধু বিয়ে নয়, দ্রুত সন্তানকেও পৃথিবীর আলো দেখাতে হবে তাঁদের। আর এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সংস্থা। বিয়ের জন্য বেঁধে দেওয়া টার্গেট পুরো না করতে পারলে চাকরি যাবে। ওই সংস্থায় তাঁর আর কাজ করা হবেনা।
ওই সংস্থা সেখানে কর্মরত অবিবাহিত ও ডিভোর্সিদের উদ্দেশ্যে সাফ জানিয়েছে আগামী জুন মাসের মধ্যেই তাঁদের বিয়ে করতে হবে। যদি সেই সময়ের মধ্যেও কেউ বিয়ে না করেন, তাহলে তাঁকে একটি হুঁশিয়ারি দেওয়া হবে। তাঁদের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।
যদি দেখা যায় সেপ্টেম্বরের মধ্যেও তাঁরা বিয়ে করলেন না, তাহলে তাঁদের ওই সংস্থা থেকে চাকরি যাবে। এটা আগাম জানিয়ে দিয়েছে সংস্থা।
তবে এটা কেবল ২৮ থেকে ৫৮ বছর বয়সী কর্মীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলেও জানিয়েছে চিনের ওই সংস্থা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এ এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তা ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।