চিনের চ্যাপটা শহর, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
মানুষ থাকার জন্য যেখানে এতটুকু জায়গা পায় সেখানেই বসতি স্থাপন করে ফেলে। কিছু ক্ষেত্রে মনে হয় এখানে বসতি তৈরিটা কি খুব দরকার ছিল? এমনই এক শহর রয়েছে পৃথিবীর বুকে।
২ ধারে পাহাড়ে সারি। উঁচু উঁচু পাহাড় উঠে গেছে। মাঝখানে উপত্যকার মত ফাঁক দিয়ে বয়ে গেছে একটি নদী। নদীর প্রায় গা ধরেই পাহাড় উঠে গেছে। এই নদী আর পাহাড়ের মাঝে যে স্থলভাগ তা একটা ফালির মত। সেখানেই একটি আস্ত শহর গড়ে উঠেছে।
শহরটা কতটা সরু ও চ্যাপটা তা তার বহর বললেই বোঝা যায়। এ শহরটি যেখানে সবচেয়ে বেশি চওড়া সেখানটা ১ হাজার ফুট। আর যেখানে সবচেয়ে সরু সেখানটা ১০০ ফুট। এতটাই সরু।
নদীর গা ধরে ফালির মত স্থলভাগেই তৈরি হয়েছে গায়ে গায়ে লেগে থাকা বাড়ির সারি। নদীর জল তো বাড়ে। যাতে সেই জল বাড়ার ফলে বাড়িগুলি জলের তলায় না চলে যায় সেজন্য প্রতিটি বাড়ি তৈরি হয়েছে উঁচু উঁচু কংক্রিটের স্তম্ভের ওপর। এভাবেই পুরো শহরটা তৈরি।
শহরটার ২ ধারে ২টি মাত্র যাতায়াতের রাস্তা। যা নদী ধরে সমান্তরালভাবে গেছে। শহরটিতে বাসিন্দার সংখ্যা কিন্তু কম নয়। এই চিঁড়েচ্যাপটা শহরেও প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষের বাস।
চিনের নাজি নদীর ধার ধরে তৈরি হয়েছে এই ইয়ানজিন শহরটি। যা নিজেই একটা বিস্ময়। চারধারে পাহাড়, সবুজের ভরা প্রকৃতি, ২ ধারের খাড়াই পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নাজি নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা এই শহরে পর্যটকরাও আসেন না। এখানে পর্যটকদের ঘোরার জন্যও পরিকাঠামো তৈরি নয়। তবে এখানেই মানুষ বাস করছেন বছরের পর বছর।