Lifestyle

বিয়ে স্থির হলে এখানে ১ মাস বিশেষ নিয়ম মেনে কাঁদতে হয় পাত্রীকে

বিয়ে স্থির হওয়া তো আনন্দের কথা। কিন্তু এখানে বিয়ে স্থির হলে বিয়ের আগের ১ মাস পাত্রীকে কাঁদতে হয়। বিশেষ নিয়ম মেনে বিশেষ কারণে এই প্রথা।

Published by
News Desk

বিয়ে জীবনের এক অন্যতম আনন্দের উৎসব। বিয়ে স্থির হলে পাত্র বা পাত্রী ২ জনই খুশি হন। আনন্দে থাকেন। বিয়ের তোড়জোড়, কেনাকাটা, সাজসজ্জা সবই চলে জোরকদমে। মেয়েদের ক্ষেত্রে তো বিয়ের খুশির পাশাপাশি পোশাক ও সাজের এক অন্যই গুরুত্ব থাকে।

বিয়েতে আর যাই হোক কাঁদার কোনও জায়গা থাকেনা। কেবল বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময়টা কাঁদতে দেখা যায় কনেদের।

কিন্তু পৃথিবীতে এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে বিয়ে স্থির হলে পাত্রীকে কান্না জুড়ে দিতে হয়। তাও আবার যেমন তেমন করে কান্না নয়। একেবারে নিয়ম মেনে কান্না।

বিয়ের ১ মাস আগে একটি বিশেষ সুরে কাঁদতে হয় পাত্রীদের। প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা কাঁদতে হয় তাঁদের। পাত্রীকে তো কাঁদতে হবেই, তার সঙ্গে কান্নায় যোগ দেন তাঁর পরিবারের অন্য মহিলারাও।

তবে তাঁদের জন্য কোনও নিয়ম মানা নেই। যে যখন খুশি এবং যেদিন ইচ্ছা যোগ দিতে পারেন। সে তিনি কনের মা হতে পারেন, ঠাকুমা হতে পারেন, বা অন্য কেউ।

এই কান্না আসলে খুশির বহিঃপ্রকাশ বলেই ধরা হয় তুজিয়া জনগোষ্ঠীতে। চিনের এই জনগোষ্ঠীতে বিয়ের আগে একমাস যাবত এই কান্না হল বিয়ের আনন্দে। কারণ এই কান্নার একটি বিশেষ সুর থাকে। যে সুরে যন্ত্রণা নয়, আনন্দই ফুটে বার হয়। মানে যাকে বলে আনন্দাশ্রু।

Share
Published by
News Desk