কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে নারী, প্রতীকী ছবি
অনেকে শুনে বলছেন একুশে আইনের রাস্তা খুলছে এবার। অনেকের মতে এ যেন তুঘলকি ফতোয়া। তবে যে যাই বলুন না কেন দেশের সরকার ইতিমধ্যেই একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে ফেলেছে, যা আইন হওয়ার অপেক্ষায়। সেখানে বলা হয়েছে চিনের জাতীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে এমন পোশাক পরলে জেল হতে পারে যে কারও।
এমনকি চিনের ভাবাবেগে আঘাত দেয় এমন কোনও লেখাও লেখা যাবেনা। এমন কোনও বক্তব্যও পেশ করা যাবেনা। এমনটা করলে গারদে পিছনে জায়গা হতে পারে। সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হতে পারে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৫০ হাজার টাকার ওপর।
চিনে এমন এক আইন আসছে সেকথা শুনে রীতিমত আতঙ্কে সে দেশের মানুষ। তাঁদের প্রশ্ন পোশাক পরার সময় তাঁরা বুঝবেন কীভাবে যে সেই পোশাকটি জাতীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে!
পছন্দের পোশাকটি ঠিক থাকলেও তো তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। কে স্থির করবে ওই পোশাক চিনের জাতীয় ভাবাবেগে আঘাত দিচ্ছে কিনা!
অনেকেই মনে করছেন এই খসড়ায় অনেক কিছুই পরিস্কার নয়। যার ফলে এই আইন এলে প্রশাসনের অনেকে নিজের মত করে গ্রেফতারের রাস্তায় যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এটা নির্ধারণই হবেনা যে যাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তিনি সত্যিই সেই শাস্তির যোগ্য কিনা।
ভাল লাগলে সেই পোশাক হয়তো কেউ পরলেন। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা হল। তিনি বুঝতেই পারলেন না কেন তাঁর গারদের পিছনে জায়গা হল! কেনই বা তাঁকে মোটা টাকা দিতে হচ্ছে! তাই আইনটি যদি বাস্তবায়িতও হয় তাহলেও তা খুব পরিস্কার হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন চিনের মানুষজন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা