Feature

যুবতীর কান্না ভেঙে দিয়েছিল চিনের প্রাচীরও, সেই প্রেমকাহিনি আজও মুখে মুখে ঘোরে

এক যুবতীর কান্নায় ভেঙে পড়েছিল চিনের প্রাচীর। সেই কাহিনি আজও মানুষকে কাঁদায়। আজও মুখে মুখে ঘোরা প্রেমকাহিনির অন্যতম এটি।

Published by
News Desk

তাঁদের বিয়ের কিছুদিন হয়েছিল। যুবক যুবতীর সুখের সংসার। ২ জনের ভালবাসাও বড়ই প্রগাঢ়। ওই যুবক তখন কাজ করতেন রাজার কাছে।

রাজ নির্দেশে তাঁকে রাতারাতি চলে যেতে হয় এক ঐতিহাসিক নিদর্শন নির্মাণের কাজে। সেখানে তিনি শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন।

এদিকে স্বামীকে কাছে না পেয়ে বিরহ যন্ত্রণায় কাতর স্ত্রী প্রতিদিনই পথ চেয়ে থাকেন কবে তাঁর স্বামী ফিরবেন। এভাবে দিন কাটতে থাকে। একসময় আসে শীতকাল।

ঠান্ডার কামড় ক্রমশ অসহ্য হতে থাকে। ওই যুবতী স্থির করেন তিনিই যাবেন স্বামীর কাছে। এই শীতে তাঁকে গরম পোশাক পৌঁছে দেওয়া দরকার। সেই ভেবে স্বামীর জন্য গরমের পোশাক নিয়ে রওনা দেন ওই যুবতী।

চিনে তখন চিনের প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছিল। সেখানেই শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন লেডি মেং জিয়াং-এর স্বামী। মেং জিয়াং অবশেষে গরম পোশাক নিয়ে পৌঁছন যেখানে তাঁর স্বামী কাজ করছিলেন সেখানে।

চিনের লোককাহিনিতে মেং জিয়াং-এর যাত্রা, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি শোনেন তাঁর স্বামী আর নেই। তিনি সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আর নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি মেং জিয়াং।

মর্মবেদনায় তিনি এতটাই চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন যে সেই চিৎকারে নাকি চিনের প্রাচীরের একটা অংশও ভেঙে পড়েছিল। এটা এমন এক কাহিনি যা চিনের অন্যতম ৪টি লোককাহিনির একটি হয়ে আছে।

চিনে আজও মেং জিয়াং-এর সেই প্রেমকাহিনি মুখে মুখে ঘোরে। যে কাহিনি আজও জড়িয়ে আছে চিনের প্রাচীরের সঙ্গে। এ কাহিনি লায়লা-মজনু, রোমিও-জুলিয়েট-এর প্রেমকাহিনির মতই চিরদিনের হয়ে গেছে।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts