মানিব্যাগটা স্কুলেই ছিল, পাওয়া গেল ৫০ বছর পর
ছাত্রটির তখন ১৭ বছর বয়স। স্কুলের মধ্যেই তার মানিব্যাগটি খোয়া যায়। তারপর অনেক খোঁজাখুঁজিতেও তা পাওয়া যায়নি। অবশেষে পাওয়া গেল ৫০ বছর পর।

এখন তাঁর ৬৭ বছর বয়স। যখন ১৭ বছর বয়স ছিল তখন সময়টা ছিল ১৯৭৪ সাল। সেই বছর স্কুলের বাথরুমে তাঁর একটি মানিব্যাগ বা ওয়ালেট খোয়া গিয়েছিল। সেটা আর পাওয়া যায়নি।
তারপর স্কুল জীবন শেষ হয়। কর্মজীবনও শেষ হয়। সময়ের হাত ধরে একসময় বিস্মৃতির অন্ধকারে হারিয়ে যায় সেই মানিব্যাগের কথা। হালে ওই স্কুলটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
সেই কাজের দেখাশোনার দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি জানতে পারেন স্কুলের একটি বাথরুম ভাঙার সময় দেওয়ালের পিছনে একটি ওয়ালেট পাওয়া গেছে। তিনি সেখানে হাজির হন। ওয়ালেটটি খুলে দেখেন।
পুরনো সন্দেহ নেই। ভিতরে রয়েছে একটি স্কুলের পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সামাজিক বীমার কার্ড, একটি হকি ম্যাচের টিকিট সহ আরও কয়েকটি জিনিস। তবে কোনও টাকাকড়ি সেখানে ছিলনা।
পরিচয়পত্র দেখে সকলে জানতে পারেন যাঁর ওই ওয়ালেট তিনি ওই স্কুলেই পড়তেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়া থাকায় সেটা কাজে লাগান ওই ওয়ালেটটি খুঁজে পাওয়া মহিলা।
অবশেষে টম সফ নামে ওই ব্যক্তির খোঁজও পান। ৬৭ বছর বয়স্ক টম বিষয়টি জানতে পেরে নিজের স্কুলে হাজিরও হন। তাঁর হাতে ওয়ালেটটি তুলে দেওয়া হয়। তিনি সেটি খুলে কার্যত স্মৃতিতে ডুবে যান।
তাঁর মনে তখন তাঁর বছর ১৭ বয়স। তাঁর মানিব্যাগটি স্কুলের বাথরুমে পড়ে গিয়েছিল। তারপর সেটি অনেক খুঁজেও তিনি পাননি। সেটিই এই ৫০ বছর পর হাতে পেলেন তিনি।
টম জানান তাঁর ধারনা মানিব্যাগটি পাওয়ার পর কেউ সেটি থেকে টাকাকড়ি যা ছিল বার করে নিয়ে সেটি বাথরুমের সিলিংয়ের পিছনে ছুঁড়ে দিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার একটি স্কুলে।