কানাডার সাবল দ্বীপে সিন্ধুঘোটকের অবশেষ, ছবি – সৌজন্যে – এক্স – @Sable_Institute
সমুদ্রের মাঝে একটা দ্বীপ মানে বেশ একটা মনোরম রোমান্টিক জায়গা বলেই মনে হয়। কিন্তু এ দ্বীপ কোথাও যেন আলাদা। এ দ্বীপে পা রাখলে প্রথমেই নজর কাড়ে সারি দিয়ে পড়ে থাকা ধ্বংস হওয়া জাহাজ। এক একটার এক এক রকম অবস্থা। সংখ্যাটা প্রায় ৫০০।
৫০০টা জাহাজ এসে ধ্বংস হল এই সমুদ্রের ধারেই? অথবা ভেসে এসে ঠেকল এই বালুকাবেলাতেই? জাহাজগুলোর দিকে চাইলে কেমন যেন গা ছমছম করে অনেকের।
ভাঙাচোরা এসব জাহাজ পড়ে থাকে বালির ওপর। কিছু জাহাজের খানিক অংশ বালির তলায় চলেও গেছে। তাই এই দ্বীপকে আটলান্টিক মহাসাগরের কবরস্থান বলা হয়ে থাকে।
দ্বীপটি কিন্তু সবুজে ঘেরা। সাদা বালির সঙ্গে খেলা করে সমুদ্রের ঢেউ। তবে এ দ্বীপকে শুধু ধ্বংস হওয়া জাহাজের দ্বীপ ভাবলে ভুল হবে। এখানে ঘুরে বেড়ায় অনেক ঘোড়া। বন্য ঘোড়ারা নিজেদের মত এখানে জীবন কাটায় প্রকৃতির কোলে।
এখানকার ঘোড়া পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। কানাডার নোভা স্কোটিয়ার সাবল দ্বীপ কিন্তু পৃথিবীর অসংখ্য দ্বীপের মধ্যেও কোথাও আলাদা। আলাদা তার ২টি বিশেষত্বের জন্য।
একটি শত শত ধ্বংস হওয়া জাহাজ আর দ্বিতীয়টি তার ঘোড়া। এই ২-এর টানে কিন্তু জলযানে চেপে সমুদ্র পার করে এখানে হাজির হন পর্যটকেরা। তবে এ দ্বীপে ঘুরতে এলেও তা এক ভূতুড়ে দ্বীপের তকমা নিয়েই বেঁচে আছে।