আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের পথে, ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – @Space_Station
মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাড়ি দিতে হয়। সেখানে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে দীর্ঘ সময় থাকতেও হয়। পৃথিবী থেকে উড়ান খুব বেশি সময়ের না হলেও মহাকাশে পৌঁছে সেখানে স্পেস স্টেশনে তাঁদের ভর শূন্য অবস্থায় থাকতে হয়।
দিনের পর দিন সেখানেই থাকতে হয়। মহাকাশ স্টেশন থেকে প্রয়োজনে মহাকাশে বারও হতে হবে। সেখানেও ভেসে বেড়িয়েই কাজ করতে হয়।
সব মিলিয়ে ভর শূন্য অবস্থায় দিনের পর দিন থাকতে থাকতে তাঁরা বিষয়টিকে অভ্যস্ত করে ফেলেন। সমস্যাটা হয় ৬ মাস কি ১ বছর পর পৃথিবীতে ফিরে আসার পর।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার পর নভশ্চরের মাথা প্রয়োজনের তুলনায় হাল্কা হয়ে যায়। হাঁটার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। যদিও এগুলো সাময়িক সমস্যা। ক্রমে কেটে যায়। কিন্তু যা কাটছে না তা হল হাড়ের সমস্যা।
মহাকাশে ভর শূন্য অবস্থায় থাকতে থাকতে দেখা যাচ্ছে নভশ্চরদের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাচ্ছে। যা পৃথিবীতে ফেরার পরও সারতে চাইছে না। এমনও দেখা যাচ্ছে হাড়ের ঘনত্বের সমস্যা ১ বছরেরও বেশি ভোগাচ্ছে তাঁদের।
গবেষকেরা এটা নিয়ে চিন্তিত। কারণ মহাকাশ বিজ্ঞানে ক্রমশ জোর বাড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশ। মহাকাশে মানুষের গতিবিধিও বেড়েছে। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকেও অনেক দূরে পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
কিছুদিনের মধ্যে আরও দূরের গ্রহ, উপগ্রহে পাড়ি দেবে মানুষ। তখন তাদের আরও বেশি সময় মহাকাশে উড়ানে থাকতে হবে। তখন এই হাড়ের সমস্যা কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়ে জোর গবেষণা শুরু হয়েছে। কারণ এটা একটা বড় সমস্যা হিসাবে সামনে আসছে মহাকাশে আরও দূরে দূরে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা