ডিজনিল্যান্ড, প্রতীকী ছবি
সময়টা ২৮ অগাস্ট, ১৯৮৫। সেদিন ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত ডিজনিল্যান্ড-এর ৩০ তম জন্মদিন। ওইদিন সেখানে হাজির হন এক ব্যক্তি। উপহারও পান। উপহারে পান একটি টিকিট। যা দিয়ে ডিজনিল্যান্ডে বিনামূল্যে প্রবেশ করা যায়।
ওই ব্যক্তি সেই টিকিট নিয়ে বাড়ি ফেরেন। তারপর সেটা একটি বইয়ের ফাঁকে রেখে দেন। ডিজনিল্যান্ডে বিনা খরচে ঢোকার মত কোনও উৎসাহ পাননি তিনি। এরপর সময়ের সঙ্গে তিনি কার্যত ভুলেই যান সেই টিকিটের কথা।
তাঁর মেয়ে এখন বড় হয়েছেন। ১৮ বছরের যুবতী পরীক্ষায় দারুণ ফলও করেছেন। তিনি বাবাকে জানিয়েছিলেন একদিন তাঁর প্রেমিককে নিয়ে তিনি ডিজনিল্যান্ডে ঘুরতে যেতে চান।
কিন্তু ডিজনিল্যান্ডে ঢোকার খরচই অনেক। মেয়ের মুখে এটা শোনার পর আচমকাই ওই ব্যক্তির ডিজনি পাসপোর্ট টিকিটের কথা মনে পড়ে যায়। তিনি মেয়েকে ঘটনাটা বলেন।
যদিও তাঁর মনে দ্বিধা ছিল যে সে টিকিট আদৌ আর কাজে লাগবে কিনা। কিন্তু তাঁর মেয়ে সেই টিকিট নিয়ে হাজির হন ডিজনিল্যান্ডের গেটে।
গেটে থাকা রক্ষীকে টিকিটটি দেখান সাবরিনা নামে ওই অষ্টাদশী। রক্ষী টিকিটটি দেখে কার্যত হতবাক হয়ে যান। জানান এ এক দুষ্প্রাপ্য বস্তু।
খবর পেয়ে হাজির হন ডিজনিল্যান্ডের এক ম্যানেজার। তিনি সেই টিকিটটি দেখে তার ওপর সই করে দেন। ওই টিকিটে এরপর বিনামূল্যেই ডিজনিল্যান্ডে প্রবেশ করেন সাবরিনা। বাবার পাওয়া ৩৯ বছর আগের উপহার এতদিন পর মেয়ের মুখে হাসি ফোটাল। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায়।