জঙ্গল থেকে চিড়িয়াখানায় ঢুকে কথাবার্তা বলে আবার ফিরে গেল জঙ্গলের ভাল্লুক
কি কথাবার্তা হল সেটা জানার ইচ্ছা এখন আকুলিবিকুলি করছে সকলের মনের মধ্যে। কারণ পাশের জঙ্গল থেকে একটি ভাল্লুক চিড়িয়াখানায় ঢুকে কথাবার্তা বলে বেরিয়ে গেল নির্বিঘ্নে।
চিড়িয়াখানার কাছেই জঙ্গল। তবে চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের সঙ্গে জঙ্গলের পশুপাখিদের কোনও সম্পর্ক নেই। চিড়িয়াখানার পশুদের খাওয়ার চিন্তা নেই। সর্বদা যত্নে মানুষের দেখভালে দিন কাটায়। অন্যদিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে এগিয়ে থাকে জঙ্গলের পশুপাখিরা। তাদের জীবন, তাদের নিয়ম।
এই চিড়িয়াখানার কাছেই একটি জঙ্গল রয়েছে। সেখানে ভাল্লুকের অভাব নেই। তবে তারা চিড়িয়াখানায় ঢোকে না। তাদেরই একজনের কেন ইচ্ছেটা হয়েছিল জানা নেই। তবে সে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করে।
তারপর কাউকে জ্বালাতন না করে ধীরেসুস্থে হেঁটে পৌঁছে যায় চিড়িয়াখানার ৩ ভাল্লুকের কাছে। অবশ্যই তারা রয়েছে জালের ভিতরে। তাতে কি! কুশল বিনিময়, দুচারটে প্রাণের কথা, কেমন কাটছে দিন, এসব জিজ্ঞাসাতে তো বাধা নেই!
দেখা যায়, যে রেলিংয়ের পিছনে চিড়িয়াখানার ৩ ভাল্লুকের বাস, সেই রেলিংয়ের কাছে এসে দাঁড়ায় জঙ্গলের ভাল্লুকটি। তারপর চিড়িয়াখানার ভাল্লুকদের সঙ্গে তার কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলে। অবশ্যই তাদের ভাষায়। যা বোঝা মানুষের কম্ম নয়।
তবে এ দৃশ্য যেমন অবাক করেছে, তেমনই মন ভাল করে দিয়েছে সকলের। জঙ্গলের ভাল্লুক না তো চেষ্টা করে ওই রেলিং টপকে ভিতরে ঢোকার, নাই চিড়িয়াখানার ভাল্লুকরা বাইরে আসার।
তবে কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর জঙ্গলের ভাল্লুকটি ফের হাঁটা দেয় জঙ্গলের দিকে। কাউকে এতটুকু বিরক্ত না করে। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার ইউরেকা-র সেকুওইয়া পার্ক চিড়িয়াখানায়। ভাল্লুকদের এই আলাপচারিতা গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।













