পাড়ায় বার হলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে লাজুক প্রাণিটি, রক্তাক্ত হওয়ার ভয়ে গৃহবন্দি অনেক বাসিন্দা
পাড়ায় বার হওয়ার সাহস করছেননা অনেকে। পারতপক্ষে বাড়িতেই থাকছেন। খুব দরকার পড়লে রাস্তায় নামছেন ভয়ে ভয়ে। ইতিমধ্যেই ২ জনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে লাজুক প্রাণিটি।

তার ভয়ে এখন পাড়ায় বার হওয়ার সাহস করছেননা কেউ। নেহাতই না বার হলেই নয়, এমনটা হলে চারিদিক দেখে এগোচ্ছেন পথ দিয়ে। বুক দুরদুর করছে। এই বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়ল। কোথায় যে সে ঘাপটি মেরে আছে তা বোঝা দায়!
তার অতর্কিত হানায় ইতিমধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে জায়গা হয়েছে ২ জনের। আহত হয়েছেন ৫ জনের ওপর। তাঁরা প্রত্যেকেই রক্তাক্ত। কারও ওপর ঝাঁপ দিলে তাঁকে আঁচড়ে, কামড়ে একাকার করছে। ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও সহজে ছাড়ছে না।
এমনিতে অতি লাজুক প্রাণি হিসাবেই পরিচিত কাঠবিড়ালি। ছোটদের তো পছন্দেরই, এমনকি বড়দেরও পছন্দের একটি প্রাণি। কোনও সাতে পাঁচে থাকেনা। বাদাম বা এমন কোনও খাবার দিলে অনেকসময় এসে সেটা নিয়ে টুক করে গাছে উঠে যায়।
থাকে মানুষের আশপাশেই। কিন্তু মানুষের সংস্পর্শে বড় একটা আসেনা। যদি না পোষ মেনে যায়। তবে সে যেমনই হোক, কাঠবিড়ালি কিন্তু আক্রমণাত্মক একেবারেই নয়।
কিন্তু কাঠবিড়ালির পরিচিত স্বভাবের ঠিক বিপরীত চরিত্র হয়ে সামনে এসেছে একটি কাঠবিড়ালি। যা কার্যত গোটা এলাকার ত্রাসে রূপান্তরিত হয়েছে। কখন যে কার ওপর সে ঝাঁপিয়ে পড়বে, তাঁকে রক্তাক্ত করবে তা কারও জানা নেই।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান রাফায়েলের লুকাস ভ্যালি এলাকার বাসিন্দারা এখন তাই কার্যত স্বদিচ্ছায় গৃহবন্দি। কেউ বাড়ি থেকে বার হতেই চাইছেন না কাঠবিড়ালিটির ভয়ে। খবর গেছে বন দফতরেও।
এদিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা, কাঠবিড়ালি লাজুক প্রকৃতির প্রাণি হলেও এই কাঠবিড়ালিটি হয়তো ছোট থেকে মানুষের হাত থেকে খাবার খেয়ে বড় হয়েছে। এখন তাকে হয়তো খাওয়ানো হচ্ছেনা।
এদিকে ছোট থেকে সে নিজের খাবার খুঁজে নেওয়াও শেখেনি। ফলে সে খিদের চোটে এভাবে মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তাকে পাকড়াও করার ব্যবস্থা হয়েছে।