সরষের তেল, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
গত ২ বছরে বহু মানুষের রোজগার কমেছে। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম তাল মিলিয়ে বেড়েছে। যে তালিকায় রয়েছে সরষে, সূর্যমুখী, বাদাম, সয়াবিন তেলের দাম। যা সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের নিত্যদিনের সঙ্গী, নিত্যদিনের প্রয়োজন।
কিন্তু সেই তেল কিনতে কার্যত ছেঁকা খাচ্ছিলেন আমজনতা। ১ লিটার সরষে বা সাদা তেল কিনতে ২০০ টাকার ওপরও খরচ করতে হয়েছে সকলকে।
এই নাভিশ্বাস ওঠা পরিস্থিতি থেকে হালে কিছুটা হলেও রেহাই মিলেছে। তবে এখনও তেলের দাম চড়াই। এই অবস্থায় তেলের দাম কমাতে এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন দফতর ভোজ্য তেল ও তৈল বীজ মজুত করার ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। ফলে কেন্দ্রের উল্লিখিত সর্বোচ্চ মজুত পরিমাণের ওপর আর কোনও ব্যবসায়ী ভোজ্য তেল ও তৈল বীজ মজুত করে রাখতে পারবেননা।
এই নির্দেশ ৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যোগানে কোনও বাধা সৃষ্টি না করে মজুতে তাদের উল্লিখিত নিয়ন্ত্রণবিধি যাতে ঠিকমত পালন হয় সেদিকে সকলকে নজর রাখতে হবে।
ইতিমধ্যেই ভোজ্য তেলের দামে রাশ টানতে কেন্দ্র বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাতে সুফলও পাওয়া গেছে। তেলের দাম কিছুটা হলেও কমেছে।
এবার কেন্দ্রের এই মজুত নিয়ন্ত্রণ নির্দেশ তেলের দাম আরও কমাতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা