Business

দেশি আপেলকে দামে হারাচ্ছে বিদেশি আপেল, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষিরা

দেশের বাজারে এখন আপেলের দাম কমিয়ে দিচ্ছে বিদেশি এই আপেল। যা কার্যত কাশ্মীরি আপেলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। ফলে মাথায় হাত পড়েছে আপেল চাষিদের।

Published by
News Desk

দেশের বাজারে ২ ধরনের আপেলের চাহিদা রয়েছে। যে তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কাশ্মীরি আপেল। যা যুগ যুগ ধরেই দেশবাসীর পছন্দের ফল।

আপেল খেতে হলে প্রথমেই মানুষের মাথায় আসে কাশ্মীরের আপেলের কথা। এছাড়া হিমাচলের আপেলেরও চাহিদা রয়েছে। কিন্তু কাশ্মীরের আপেল চাষ এখনও স্বনামধন্য। বহু মানুষ এখানে আপেল চাষের সঙ্গে যুক্ত।

কিন্তু বংশপরম্পরায় আপেল চাষ করে সংসার চালানো এই আপেল চাষিদের মাথায় কার্যত হাত ফেলে দিয়েছে ইরানের আপেল। দামে দাঁড় করিয়ে কাশ্মীরি আপেলকে গোল দিচ্ছে এই ইরানি আপেলরা।

যদিও এভাবে আমদানি শুল্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভারতের বাজারে ছড়িয়ে পড়া ইরানি আপেল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানালেন কাশ্মীরি আপেলের চাষিরা।

দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। যে গোষ্ঠী সাফটা নামে পরিচিত। এই সাফটার সদস্য ভারত এবং আফগানিস্তানও। তবে ইরান নয়।

এদিকে আফগানিস্তান থেকে ভারতে আপেল আনতে সাফটা চুক্তি অনুযায়ী কোনও আমদানি শুল্ক দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই সরাসরি ইরান থেকে না এনে আফগানিস্তান হয়ে আপেল আনাচ্ছেন ফল ব্যবসায়ীরা। আমদানি শুল্ক সেক্ষেত্রে দিতে হচ্ছেনা। ফলে তাঁরা অনেক কম দামে ইরানি আপেল বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন।

এভাবে ইরানি আপেল ভারতের বাজারে আনাকে বেআইনি বলে দাবি করে কাশ্মীরি আপেল চাষিরা এর বিহিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছেন। তাঁদের দাবি এভাবে বিদেশ থেকে আপেল আনার ওপর ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হোক।

দেখা যাচ্ছে এক বাক্স ভাল কাশ্মীরি আপেলের দাম যেখানে দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা, সেখানে ভাল মানের ইরানের আপেলের সেই এক বাক্সের দাম পড়ছে খুব বেশি হলে ৭০০ টাকা। এমন অবস্থা যে এখন কাশ্মীরে আপেলের ৩ কোটি বাক্স অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts