Business

কত টাকার গয়না কিনতে কেওয়াইসি আবশ্যিক জানাল রাজস্ব দফতর

গয়না তো নানা সময় মানুষ কিনে থাকেন। তবে কত টাকার নিচে তাঁদের কেওয়াইসি জমা দিতে হবে না জানাল ভারতের রাজস্ব দফতর।

নয়াদিল্লি : অন্নপ্রাশন হোক বা বিয়ে, আশির্বাদ হোক বা প্রথম মুখ দেখা এবং এমন কতই না তথাকথিত শুভ কাজেই তো ভারতে নিদেনপক্ষে এক কুচো সোনা লাগে। এটাকে মাঙ্গলিকও ধরা হয়। আবার সম্মানরক্ষাও। তাই ভারতে সোনার দাম যেখানেই পৌঁছক না কেন শুভ কাজে সামান্য হলেও সোনা কিনে থাকেন অনেকে।

আর যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে তাঁরা তো সারা বছরই বিভিন্ন কারণে সোনার গয়না কিনে থাকেন। কিন্তু শুধু কিনলেই তো হবে না, একটা টাকার ওপর গয়না কিনলে গ্রাহককে দিতে হচ্ছে কেওয়াইসি। কেওয়াইসি হিসাবে হয় প্যান কার্ড অথবা আধার কার্ড দিতে হচ্ছে তাঁদের। তবে কী সামান্য অর্থের গয়না কিনলেও এখন দিতে হবে কেওয়াইসি? এ প্রশ্ন অনেকেরই ছিল। সেটাই পরিস্কার করে দিল ভারতের রাজস্ব দফতর।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ভারতের রাজস্ব দফতর স্পষ্ট করে দিয়েছে ২ লক্ষ টাকার ওপর গয়না কিনলে তবেই গ্রাহককে প্যান বা আধার কার্ড দিতে হবে। তার নিচে কেনা গয়না, দামি পাথর বা রত্নের জন্য কোনও কেওয়াইসি জমা দিতে হবে না। বিক্রেতারাও ২ লক্ষ টাকার নিচে গয়না বেচতে গ্রাহকের কাছ থেকে কেওয়াইসি নিতে পারবেন না।

ভারতের আয়কর আইন অনুযায়ী এ দেশে ২ লক্ষ টাকার ওপর নগদে কোনও লেনদেনই নিয়ম বিরুদ্ধে। ফলে বিক্রেতারাও ২ লক্ষ টাকার ওপর নগদে নিতে পারছিলেননা।

এই অবস্থায় অন্যভাবে দাম মেটাতে গেলে কেওয়াইসি দিতে হবে। আর্থিক দুর্নীতি বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থপ্রদান জনিত বিষয়ে নজর রাখাও এর পিছনে একটা বড় কারণ।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বিশ্বজুড়ে আর্থিক দুর্নীতি বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থ প্রদান জনিত বিষয়ে নজর রাখছে। ২০১০ সাল থেকে এই এফএটিএফ এর সদস্য ভারতও।

এফএটিএফ-এর নিয়ম হল ১০ লক্ষ টাকার ওপর যদি কোনও গ্রাহক সোনা, দামি পাথর বা রত্ন নগদে ক্রয় করেন তাহলে তাঁর কাছ থেকে কেওয়াইসি নেওয়া বাধ্যতামূলক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More