Business

মিষ্টি বিদ্রোহের হাত ধরে বিশ্বে দ্বিতীয় সেরা ভারত

ফের এক বড় সাফল্য অর্জন করল ভারত। আর তা সম্ভব হল মিষ্টি বিদ্রোহের হাত ধরে। বিশ্বের দরবারে অনেক কিছুর সঙ্গে আরও মধুময় হল ভারত।

২০২০ সালের খতিয়ান বলছে বিশ্বে ভারতের স্থান ছিল নবমে। সেখান থেকে মাত্র ৪ বছরের লড়াইয়ে এখন তারা ২ নম্বরে। ২০২৩-২৪ সালের খতিয়ান বলছে বিশ্বের মধ্যে ভারত এখন ২ নম্বরে।

বিজ্ঞান ভিত্তিক পদক্ষেপ, গুণগত মানের দিকে কঠোর নজরদারি, আরও বেশি করে মানুষকে এই কাজে আকর্ষিত করা, মধুক্রান্তি পোর্টাল চালু করে মানুষজনের মধ্যে সচেতনতা বিস্তার ও এই ব্যবসার সব দিক সম্বন্ধে তাঁদের অবহিত করা। ভারত সরকারের এই উদ্যোগ ভারতকে মধু উৎপাদনে বিশ্বের ২ নম্বরে তুলে আনল। যা অবশ্যই এক বড় সাফল্য।

মধু চাষের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ভিত্তিক পদক্ষেপ মধুর উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। ন্যাশনাল বি কিপিং অ্যান্ড হানি মিশন-এর আওতায় সরকার এই মধু উৎপাদনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়াকে মিষ্টি বিদ্রোহ বলছে। তা যে খুব ভুল নয় তা উৎপাদন থেকেই স্পষ্ট।

২০২৩-২৪ সালে ভারত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১.০৭ মেট্রিক টন মধু পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। যা অবশ্যই এক বড় সাফল্য। যার বিশ্ব বাজারে দাম ছিল ১৭৭.৫৫ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকার মত।

দেশের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে থাকা ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে এই ব্যবসায় মন দেওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। তাঁরা মধু চাষের হাত ধরে তাঁদের রোজগার অনেকটাই বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন।

সাধারণ কৃষকরাও এই ব্যবসা করে লাভবান হয়েছেন। বৈজ্ঞানিকভাবে এবং সুপরিকল্পিতভাবে মধু চাষ করতে পারলে যে তার সাফল্য কোথায় পৌঁছতে পারে তা ভারতের উৎপাদন বৃদ্ধি থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *