Business

রাবণ চাইছে ট্রাম্পের দেশ, একই পথে হাঁটল কানাডাও

রাবণ চাইছে ট্রাম্পের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধু ট্রাম্পের দেশই নয়, সেই সঙ্গে একই পথে হেঁটেছে কানাডাও। সকলেই রাবণের সঙ্গে আরও ২ জনকে চাইছে।

রাবণ চাই। অর্ডার ভেসে এল ট্রাম্পের দেশ থেকে। ফলে পাঠাতেও হবে। তাও আবার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে। কারণ তারপর সে রাবণের আর কোনও প্রয়োজন থাকবেনা। শুধু রাবণ নয়, মেঘনাদ আর কুম্ভকর্ণকেও চাই। একসঙ্গে ৩ জন।

শুধুই কি মার্কিন মুলুক! অর্ডার এসেছে কানাডা থেকেও। একই অর্ডার। চাই রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদ। ফলে দিল্লির তারাপুর রাবণ মার্কেটে এখন দম ফেলার সময় নেই কারও।

একে তো দেশের মধ্যেই অনেক জায়গায় রাবণ যাবে। তার সঙ্গে জুড়েছে বিদেশ থেকে ভেসে আসা রাবণের চাহিদা। এরফলে নতুন করে যেন জেগে উঠেছে ৭০ বছর পুরনো এই রাবণ বাজার। যেখানকার রাবণ, মেঘনাদ এবং কুম্ভকর্ণের কুশপুতুল তৈরি করার শিল্প বিখ্যাত।

সামনেই দশেরা। দেশজুড়েই পালিত হবে এই দশেরা উৎসব। দেশের অনেক জায়গায় রাবণ দহনের রীতি প্রচলিত। সেখানে অতিকায় রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদের কুশপুতুল তৈরি করে তাতে আতসবাজি ভরে দেওয়া হয়।

সাধারণত মাঠে এই পুতুলগুলি সাজিয়ে তাতে তির নিক্ষেপ করে জ্বালিয়ে দেওয়া রীতি। সে তির আবার যে কেউ নন, রামের বেশে থাকা কেউ নিক্ষেপ করেন। অনেকসময় কোনও রাজনৈতিক নেতার হাত দিয়েও এই তির নিক্ষেপ করা হয়।

দশেরা পালনের জন্য এইসব অতিকায় রাবণের কুশপুতুল তৈরি করার ক্ষেত্রে দিল্লির তারাপুর রাবণ মার্কেটের শিল্পীদের সুনাম আছে। এবার তাঁরা রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদের কুশপুতুল তৈরির জন্য আমেরিকা ও কানাডা থেকেও অর্ডার পেয়েছেন।

সেখানে একটু ছোট আকারের কুশপুতুল চাই বলে অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ফলে এগুলি সময়ে পাঠানোর জন্য কার্যত শিল্পীদের হাতে আর সময় নেই। দ্রুত শেষ মুহুর্তের শিল্পীর ছোঁয়া দিয়ে এগুলি পাঠিয়ে দেবেন তাঁরা।

গতবছর বিদেশ থেকে ১টাও অর্ডার ছিলনা। এবার তা বদলে গেছে। এখন দেশের মধ্যে এবং বিদেশের অর্ডার মিলিয়ে এখানকার শিল্পীদের রাতে ঘুমানোর সময়টাও নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *