সামনেই উৎসবের মরসুম, গমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র
উৎসবের মরসুমে যাতে দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা না হয় সেজন্য গমের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। কঠোর নজরদারিও চলবে।

উৎসবের মরসুম এগিয়ে আসছে। বছরের এই সময়টায় অনেক কিছুর দামে চড়া ভাব নজর কাড়ে। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে যাতে দাম চড়ার প্রভাব না পড়ে, যাতে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে সেকথা মাথায় রেখে এগোতে চাইছে কেন্দ্র।
তাই উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার মুখেই গমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও কালোবাজারির চেষ্টা রুখে দিতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। গণেশ পুজো ও ওনামের মুখেই গমের দামকে খোলা বাজারে নিয়ন্ত্রণে রাখতে মজুতের ঊর্ধ্বসীমায় পরিবর্তন আনা হল।
এতদিন গমের হোল সেলাররা ৩ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত গম তাঁদের কাছে মজুত রাখতে পারছিলেন। এখন তা কমিয়ে ২ হাজার মেট্রিক টন করে দিল কেন্দ্র। একইভাবে সাধারণ বিক্রেতাদের ক্ষেত্রেও মজুতে এসেছে পরিবর্তন।
সাধারণ গম বিক্রেতারা তাঁদের রিটেল আউটলেটে ১০ মেট্রিক টন পর্যন্ত মজুত রাখতে পারতেন। এখন তা কমিয়ে ৮ মেট্রিক টন করে দেওয়া হয়েছে। এই মজুত সীমা ৩১ মার্চ, ২০২৬ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এতে খোলা বাজারে গমের চাহিদার সঙ্গে যোগানে ভারসাম্য বজায় থাকবে। বাজারে যোগান যথেষ্ট থাকলে দাম বাড়ানোর সুযোগ থাকবেনা। দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কেন্দ্র মজুতের ঊর্ধ্বসীমা স্থির করে আপৎকালীন সময়ের জন্য তৈরি থাকে। সেটা একটু বেশি থাকলে কোনও কারণে আচমকা প্রয়োজন পড়লে ওই মজুত ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
উৎসবের সময়ে সেটাই কাজে লাগিয়ে বাজারে ছদ্ম চাহিদা তৈরি করার সম্ভাবনা থেকে যায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তা করার চেষ্টা করতে পারেন। সেখানেই লাগাম দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দিল কেন্দ্র।
কেন্দ্র সেই সঙ্গে দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করে এটাও জানিয়ে দিয়েছে গমের মজুত যথেষ্ট রয়েছে দেশে। ফলে গম পেতে কোনও সমস্যা হবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা