Business

১ বছর আগেও যা ছিল আবর্জনা, তা এখন কার্যত সোনা, লাফিয়ে বাড়ছে দাম

ভিতরের ফলটি খেয়ে তার খোলাটি ফেলে দেওয়াই ছিল রীতি। ওগুলো আবর্জনার মর্যাদা পেত। এবার সেই খোলা হয়ে উঠেছে সোনার সমতুল।

Published by
News Desk

বেশিদিন আগের কথা নয়। মাত্র ১ বছর আগেও বাজারে এই ফলটির ১ কেজির দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। যদিও পশ্চিমবঙ্গে নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গে এই ফলটি পিস হিসাবে বিক্রি হয়। তবে কেরালায় সেটাই হয় কেজি দরে।

যার দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি ছিল, ১ বছরের ব্যবধানে সে ফলের শুধু খোলার দাম এখন ৩৫ টাকা কেজি। ১ বছর আগেও যে খোলা আবর্জনা হিসাবে ফেলে দেওয়া হত, সেটাই এখন বিকোচ্ছে সোনার মত। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কেবল খোলার দাম।

নারকেলের শক্ত খোলা যে এত অল্প সময়ের মধ্যে এমন দামি হয়ে উঠবে তা খোদ নারকেল চাষিরাও বুঝে উঠতে পারেননি। এমনকি কেরালার সাধারণ মানুষ বাড়িতে নারকেল ব্যাবহারের পর তার খোলা জমিয়ে রাখছেন বিক্রির জন্য। তারপর ক্রেতা খুঁজে তা ভাল দামেই বিক্রি করছেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে কেরালায় এখন নারকেলের খোলা সোনার কদর পাচ্ছে।

কেন নারকেলের খোলার এমন কদর বৃদ্ধি? দেশে এবং বিদেশে তার চাহিদা হুহু করে বাড়তে থাকাই এই দাম বৃদ্ধির কারণ। নারকেলের খোলা থেকে এখন অ্যাকটিভেটেড কার্বন তৈরি করা হচ্ছে। যা জল পরিশুদ্ধ করতে কাজে লাগে।

এছাড়া তা দিয়ে প্রসাধনী তৈরি হচ্ছে। অনেক কারখানাতেও তা কাজে লাগছে। চিন এবং তাইওয়ানে এই কেরালার নারকেলের খোলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ফলে ১ বছরের ব্যবধানে অনেক কৃষক কেবল নারকেলের খোলার ব্যবসা করে মোটা অর্থ উপার্জন করার পথ খুঁজে পেয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts