পকেটে ছেঁকা, ধরাছোঁয়ার বাইরে আনাজের দাম, একটাই কারণ দর্শাচ্ছেন বিক্রেতারা
আনাজের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ফলে বাজারে কোনও আনাজেই হাত ছোঁয়াতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। বিক্রেতারা একটাই কারণকে সামনে আনছেন।

পটল, ঢেঁড়স, লাউ, কুমড়ো, উচ্ছে, বেগুন থেকে শুরু করে যাবতীয় আনাজ এখন কার্যত সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। সামান্য আনাজ কিনতে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে পকেট। এমন আকাশছোঁয়া দাম কিছুদিন আগেও ছিলনা। কিন্তু কিছুদিনের ব্যবধানেই আনাজের দাম কলকাতা সহ এ রাজ্যের সিংহভাগ জায়গায় আকাশ ছুঁয়েছে।
পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। বেগুনের অবস্থাও একই। উচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি, কাঁচা লঙ্কার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি ছুঁয়েছে। একটা লাউ যেখানে ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস ছিল, তা এখন বিকোচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
বিনস ২০০ টাকা কেজি। টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি ছুঁয়েছে। বরং সামান্য হলেও তুলনায় কমে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে। কিছুটা কম চিচিঙ্গের দাম। ঝিঙে বিকোচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।
শসার দাম ৮০ টাকা কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে। বাজারে গিয়ে আনাজ কিনতেই হিমসিম অবস্থা হচ্ছে মধ্যবিত্তের। এত দাম হলে খাব কি! অনেকেই বাজারে দীর্ঘশ্বাস ফেলে এমন প্রশ্ন করছেন।
সকলেই বিক্রেতাদের ধরছেন দাম এত বেশি কেন জানতে। বিক্রেতারা একটাই কারণ দর্শাচ্ছেন। একটানা বৃষ্টিই যত নষ্টের মূল। কারণ একটানা বৃষ্টিতে ক্ষেত জলে ভেসেছে। সেই সঙ্গে ক্ষেত ভরা ফসলও। যার জেরে চাহিদার সঙ্গে যোগানের সামঞ্জস্য নষ্ট হয়েছে।
চাহিদা বেশি, কিন্তু বৃষ্টিতে আনাজ নষ্টের ফলে যোগান তুলনায় অনেকটা কম। ফলে দাম বৃদ্ধি। সহজ অর্থনৈতিক যুক্তি। কিন্তু বুঝেও নাভিশ্বাস থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না বাংলার সাধারণ মানুষ।
দামের জন্য অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছেন আনাজ কেনা থেকে। কিনলেও সামান্য কিনছেন। সেটা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও কম করে আনাজ তুলছেন বিক্রি করার জন্য।