Business

কেশরের স্বাদে মন মাতাতে বিশ্বের নজর এবার ভারতের দিকে

সামনেই গ্রীষ্ম। প্রবল দাবদাহ। তবে এই সময়টার জন্যই ভারতের দিকে চেয়ে বিশ্ব। কারণ কেশরের স্বাদে মেতে ওঠার সুযোগ অন্যসময় নেই।

Published by
News Desk

এ স্বাদের যাদু চিনতেন স্থানীয়রা। সকলের পরিচিত ছিলনা। তবে ১৯৩১ সালের পর চিত্রটা বদলে যায়। ওই বছর গুজরাটের জুনাগড়ের গির অঞ্চলে নবাবের নজরে আসে এই সুস্বাদু ফল। তিনি এর স্বাদে এতটাই বিভোর হন যে তার একটি নামকরণও করে দেন।

রসাল শাঁসের রং বেশ গাঢ় গেরুয়া। সেটা দেখার পর নবাবের প্রথম মনে আসে কেশরের কথা। তাই তিনি এর নাম দেন কেশর। এরপর কেশর আম ক্রমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ছড়াতে থাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ক্রমে বাড়তে থাকে চাহিদা।

আর চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে এর চাষ। এখন গুজরাটের ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫১৪ হেক্টর জমিতে রয়েছে এই কেশর আমের বাগান। ২০২৪ সালে এই আমের মোট ফলন হয়েছে ১০ লক্ষ ৮ হাজার মেট্রিক টন। যারমধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিদেশে কেশর আমের রফতানি হয়েছে ৬৯০ মেট্রিক টন।

ভারত হল বিশ্বের সর্ববৃহৎ আম উৎপাদক দেশ। এদেশে বহুরকমের আমের প্রকার রয়েছে। তারমধ্যে যে কয়েকটি বিদেশের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যায়, বিদেশিরা যেগুলির স্বাদে মাতোয়ারা, সেই তালিকায় অবশ্যই রয়েছে গুজরাটের এই কেশর ম্যাঙ্গো বা কেশর আম।

জিআই ট্যাগ পাওয়া এই আম গুজরাটের আম কৃষকদের এক বড় ভরসা। গুজরাটের একটা মোটা অঙ্কের রাজস্ব নির্ভর করে এই আম চাষের ওপর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts