Business

শীত এলেও আনাজের আগুন দাম, কেন এমন অবস্থা, কবে কমবে দাম

মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের ডিসেম্বরে পৌঁছেও আনাজের দামে রেহাই নেই। প্রতিটি আনাজেরই আগুন দাম। জোড়া কারণ দেখিয়ে ক্রেতাদের মুখ বন্ধ করছেন বিক্রেতারা।

Published by
News Desk

বলা হয় শীতের দিনে আনাজ খেয়ে মজা। শীতের সময় নানা আনাজে বাজার ভরে থাকে। সুস্বাদু সব রান্না পাতে পড়তে থাকে প্রতিদিন। কারণ এইসময় আনাজের দামটা নাগালের মধ্যে থাকে। কিন্তু এবার ডিসেম্বরের মাঝখানে পৌঁছে গেছে ক্যালেন্ডার। শীতও এসে পড়েছে।

কিন্তু শীতের আনাজের দামে কোনও রেহাই নেই। সব আনাজের দামই হাতে ছেঁকা দিচ্ছে। বেগুন থেকে বিনস, সিম থেকে মুলো, বাঁধাকপি থেকে কড়াইশুঁটি, কোনওটার দামই ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই।

অগত্যা প্রায় ফাঁকা বাজারের থলিতে সামান্য কিছু বাজার করে অনেককে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। যেখানে শীত মানে বাজারের থলি ভরে বাজার আসার কথা।

কিন্তু শীতেও আনাজের দামে রেহাই নেই কেন? সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে বাজারের দাম নিয়ন্ত্ৰণে যুক্ত টাস্ক ফোর্সের এক সদস্য এর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিক্রেতারাও একই কথা বলছেন।

টাস্ক ফোর্সের ওই সদস্যের দাবি, এবার দীর্ঘ সময় ধরে বর্ষা চলেছে। বন্যাও হয়েছে। যার জেরে সবজির দাম রকেটের মত বেড়েছে। আলুর মধ্যে জ্যোতি আলু এখন ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে চন্দ্রমুখীর দাম ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি। কড়াইশুঁটি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। বাঁধাকপি ৪০ টাকা কেজির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। কাঁচা লঙ্কা ১০০ টাকা কেজি।

এছাড়া অন্য আনাজের দামও যথেষ্ট বেশি। আবার অনেক রান্নায় অপরিহার্য পেঁয়াজ, রসুন, আদা। পেঁয়াজ এখনও ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজির মধ্যে ঘুরছে। রসুনের দাম শুনে অনেকেই আঁতকে উঠছেন। ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি রসুন।

এখন অধিকাংশ দোকানেই কাঁচা আদাটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। যা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। তাহলে শীতের ফসলের দাম কবে কমবে? বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, কত কমবে তা পরিস্কার করে বলা মুশকিল। তবে কমলেও জানুয়ারির আগে নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts