ভারতীয় খাবার, প্রতীকী ছবি
বাড়িতে ডাল, ভাত, তরকারি, মাছের সঙ্গেই অভ্যস্ত বাঙালি। আবার বাকি ভারতের দিকে যদি তাকানো যায় তাহলে বিভিন্ন প্রান্তে অনেক পরিবার নিরামিষাশী। আবার আমিষ খান এমন অনেকেই রয়েছেন। যাঁরা আমিষ খান তাঁদের বাড়িতে আমিষ ও নিরামিষ ২ রকম পদই হয়ে থাকে। আর যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের নিরামিষ পদের সংখ্যা বেশি হয়।
গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে একটা বিষয় ভারতবাসীর নজর কাড়ছিল। দেখা যায় প্রতি মাসেই নিরামিষ রান্নার খরচ বাড়ছে। তুলনায় আমিষ রান্নার খরচ কমছে।
সেটাই জানাতে থাকে খতিয়ান। যা জুন মাসেও বজায় রইল। ২০২৪ সালের জুনেও সেই নিরামিষের দাম গোহারান হারিয়ে দিল আমিষের খরচকে।
খতিয়ান বলছে বাড়িতে তৈরি দৈনন্দিন নিরামিষ থালির খরচ দেশজুড়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে আমিষ থালির দাম ৪ শতাংশ কমেছে। কেন এমন অবস্থা?
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নিরামিষ থালির দামকে হুহু করে বাড়িয়ে দিয়েছে প্রধানত ৩টি অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য। আলু, পেঁয়াজ ও টমেটো-র দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলায় তার সার্বিক প্রভাব গিয়ে পড়ছে দেশের মানুষের প্রতিদিনের হেঁশেলে।
নিরামিষ তরকারি রান্নার ব্যবস্থা করতে গেলে এই ৩টি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আবশ্যক। অথচ আলুর দাম ৫৯ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ৪৬ শতাংশ এবং টমেটোর দাম ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার হাত ধরে নিরামিষ রান্নার দৈনন্দিন খরচটাও বেড়ে গেছে। আর এই বৃদ্ধি অব্যাহত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা