কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে ভোজ্য তেল, প্রতীকী ছবি
দেশের প্রতিটি পরিবারে যেমন চাল, আদা, চিনি, আলু, পেঁয়াজ বা অন্য রান্নার সামগ্রির দরকার পড়ে, তেমনই প্রতিদিনের রান্নায় প্রয়োজন পড়ে ভোজ্য তেল। ভোজ্য তেলের মধ্যে রয়েছে সরষের তেল, সূর্যমুখী তেল, সয়াবিনের তেল, পাম তেল। এর প্রতিটিই ঘরে ঘরে ব্যবহার হয়।
পাম তেলের ব্যবহার আবার দেশজুড়ে যথেষ্ট। তুলনায় বাংলাতেই পাম তেলের ব্যবহার কিছুটা হলেও কম। এই পাম তেলের ভারতে এতটাই চাহিদা যে সেই চাহিদা পূরণ করতে সরকারকে বিদেশ থেকে তেল আমদানি করতে হয়।
বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার পাম তেল ভারতকে কিনতে হয় ঘরোয়া প্রয়োজন মেটাতে। যত ভোজ্য তেল সারা বছরে বিদেশ থেকে কিনতে হয়, তার ৫৬ শতাংশ খরচ এই পাম তেল কিনতেই বেরিয়ে যায় কোষাগার থেকে।
এই ব্যয়ের বোঝা আর টানতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কি কেন্দ্র পাম তেল খাওয়াতেই লাগাম দিতে চাইছে? তাও কিন্তু নয়। বরং এর অন্য রাস্তা খুলেছে সরকার।
পাম তেলের চাহিদা দেশেই মেটাতে চাইছে সরকার। এজন্য ১১ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করে দেশেই এই তৈলবীজের চাষে জোয়ার আনতে চায় সরকার।
এজন্য ন্যাশনাল মিশন অন এডিবল অয়েলস-অয়েল পাম প্রকল্প চালু করেছে সরকার। যার আওতায় দেশে এখন ২৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে ভোজ্য তেল তৈরির জন্য তৈলবীজের চাষ হয়।
যার মধ্যে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে পাম তৈলবীজের চাষ হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই পাম তৈলবীজের চাষ বাড়িয়ে তা ১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষের ব্যবস্থা করছে সরকার। যাতে দেশেই পাম তৈলবীজ থেকে পাম তেল তৈরি করে বিদেশ থেকে আমদানিতে রাশ টানা সম্ভব হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা