Business

গণেশ পুজোয় দেশের মেয়েরা একশোয় একশো, চিন পেল গোল্লা

গণেশ পুজোয় মাতোয়ারা গোটা দেশ। বুধবার গণেশ চতুর্থী। ১০ দিন ব্যাপী উৎসবের সূচনা। সেখানে দেশের মেয়েরা এবার পেলেন একশোয় একশো। চিনের ঝুলি শূন্য।

Published by
News Desk

গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বুধবার মাতোয়ারা গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গে এ পুজোর তেমন চল না থাকলেও ইদানিং গণেশ পুজোর সংখ্যা কিন্তু বেড়েছে। বারোয়ারি পুজোও যেমন বেড়েছে, তেমনই বাড়িতে গণেশ পুজোর চলও বেড়েছে।

এদিকে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক সহ দেশের অনেক রাজ্যে কিন্তু গণেশ পুজো কার্যত দুর্গাপুজোর চেহারা নেয়। সেখানে গণেশ পুজোই সবচেয়ে বড় পুজো।

সারা দেশে ছোট বড় মিলিয়ে ২০ কোটি গণেশ মূর্তি বিক্রি হয়। ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয় শুধু গণেশ মূর্তি বিক্রিকে কেন্দ্র করে। যার একটা বড় অংশ আসত চিন থেকে।

প্লাস্টার অফ প্যারিস, পাথর, মার্বেল ইত্যাদি ছিল মূর্তি তৈরির উপাদান। যা চিন থেকে ভারতে আনা হত। কারণ চিন যে গণেশ মূর্তি তৈরি করে পাঠাত তা দামে সস্তা হত। ফলে বহু মানুষের পক্ষে তা কেনা সহজ হত।

গত ২ বছর ধরেই চিনা দ্রব্য বয়কটের যে চল ভারতে শুরু হয়েছে, ভারতের বণিক সমাজের তরফে সেই বয়কটকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও হচ্ছে। এবার চিন থেকে তাই একটা গণেশ মূর্তিও ভারতের বাজারে বিক্রি হয়নি। ২০ কোটি গণেশ মূর্তির পুরো চাহিদাই পূরণ করেছেন এখানকার কারিগররা।

এবার গণেশ মূর্তি তৈরিতে পরিবেশ বান্ধব দিকটিও নজরে রাখা হয়েছে। ফলে অধিকাংশ মূর্তি তৈরি হয়েছে মাটি ও গোবর দিয়ে। যা তৈরি করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন মেয়েরা।

কারিগররা বাড়ির মহিলাদের গণেশ তৈরিতে কাজে লাগিয়েছেন। কার্যত দেশের কোণায় কোণায় গণেশ মূর্তির বিপুল চাহিদা পূরণ করাই সম্ভব হয়েছে মহিলাদের এই সক্রিয় সহযোগিতায়। রাতদিন এক করে তাঁরা কিন্তু চাহিদা পূরণ করে দিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts