পেঁড়া, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
ঝাড়খণ্ডের দেওঘর শহর বৈদ্যনাথধাম বলেও পরিচিত। ঝাড়খণ্ডের এই পবিত্র শহরে সারা বছরই দেশ বিদেশের পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। শ্রাবণ মাসে আবার ভগবান শিবের মাথায় জল ঢালতে দেওঘরে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন।
ভক্তের ঢলে শ্রাবণ মাসে দেওঘরে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। এখানকার পেঁড়া ব্যবসায়ীরা তাতে বেজায় খুশিই হন। এবারই তাঁরা ১০ হাজার টন পেঁড়া তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছেন কেবল শ্রাবণ মাসে পেঁড়ার চাহিদা পূরণ করতে।
তাঁদের ধারনা শুধু শ্রাবণ মাসেই দেওঘরে ১ কোটির মত মানুষের পা পড়বে। দেওঘরে এলে প্রত্যেকে ১ থেকে ৫ কেজির মত পেঁড়া কিনে থাকেন। সেইমত আগে থেকেই তৈরি থাকছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতি কেজি পেঁড়ার এখানে দাম পড়ে আড়াইশো থেকে তিনশো টাকার মত। যা দোকানে অনেক সময় ভাল করে সাজানোরও সময় হয়না। তার আগেই বিক্রি হয়ে যায়।
দেওঘরের পেঁড়ার কদর বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সেখান থেকেও ভাল অর্ডার আসছে। আর শুধু বিদেশ কেন, দেওঘরের পেঁড়া দেওঘর তো বটেই এমনকি ঝাড়খণ্ডের অন্য শহর যেমন বাসুকিনাথ, জসিডি, ঘোরমারা সহ বিভিন্ন শহরের অর্থনীতির বড় ভরসা হয়ে উঠেছে।
খোয়া ক্ষীর আর গুড়ের মিশ্রণে দেওঘরের পেঁড়ার স্বাদ দেওঘরে বেড়াতে যাওয়ার এক অন্যতম কারণও অনেক পর্যটকের কাছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা