এবার গ্রীষ্মে এখনও ঝড় বৃষ্টি কম হয়েছে। এমন অনেক বছর যায় যেখানে ঝড় আমের ক্ষতি করে। পাকা আমে ভরা বাগানের পর বাগানে ঝড়ে ঝরে যায় অগুন্তি আম।
এবার তেমনটা হয়নি। তবু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আম উৎপাদনকারী রাজ্যেই এবার আম নষ্ট হয়েছে। সেকথা আগেভাগেই জানিয়ে রাখলেন সেখানকার আম চাষিরা। কারণও স্পষ্ট করেছেন তাঁরা।
আম গাছে শীতের শেষে মুকুল ধরে। তারপর ক্রমে বসন্ত পার করে গ্রীষ্মে পাকা আমে ভরে ওঠে আম গাছ। শেষ শীতের ঠান্ডা। তারপর বসন্তের না গরম না ঠান্ডার এক মনোরম আবহাওয়া। এভাবেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ক্রমে আমকে স্বাদে গন্ধে ভরিয়ে তোলে। সেখানেই হয়েছে সমস্যা।
উত্তরপ্রদেশ বিখ্যাত তার দশেরি, চৌসা, ল্যাংড়া সহ নানা প্রজাতির আমের জন্য। এবার সেসব আমের দাম অনেকটা বাড়তে চলেছে। আম চাষিরা এজন্য আবহাওয়ার খামখেয়ালি ভাবকেই দায়ী করছেন।
তাঁদের মতে, এবার উত্তরপ্রদেশে গরম আগেভাগেই পড়েছে। পারদ চড়চড় করে চড়েছে মার্চ মাসেই। যা আমের জন্য ক্ষতিকর হয়েছে। আগাম এই সূর্যালোকের ছেঁকায় নষ্ট হয়েছে আমের মুকুল। অন্তত ২০ শতাংশ আম গরমে নষ্ট হয়ে গেছে।
আম চাষিরা জানাচ্ছেন, এবার গরম এতটাই আগে পড়ে গেছে যে অনেক আম গাছের মুকুল শুরুতেই নষ্ট হয়েছে। এদিকে এসব আমের চাহিদা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বিপুল।
মে মাসের শেষ বা জুনের শুরুতেই বাজারে আসতে চলেছে দশেরি, চৌসা, ল্যাংড়ার মত আম। তখনই পরিস্কার হবে ঠিক কতটা বেশি দামে এসব আম কিনতে হবে মানুষকে। প্রসঙ্গত ভারতে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হয় অন্ধ্রপ্রদেশে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা