SciTech

কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দিরে অনন্য গবেষণা, বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানীরা

কলকাতার অন্যতম এক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রেই তাঁদের গবেষণা। এমন এক গবেষণা যা ভারতকে গর্বিত করল। তাক লাগিয়ে দিল বিশ্বকে।

Published by
News Desk

কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দির বা বোস ইন্সটিটিউটের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের বিজ্ঞানী অভ্রজ্যোতি ঘোষ ও তাঁর নেতৃত্বে থাকা এক বিজ্ঞানীদের দল এমন এক গবেষণা করে ফেলল যা বিশ্বকে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের যোগান দিল।

ধারনা দিল কীভাবে কিছু প্রাচীন আণুবীক্ষণিক জীব নিজেদের অত্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়াতেও বাঁচিয়ে রাখতে পারে। আর সেটা পারে বলেই কীভাবে তারা বহু প্রাচীন কাল থেকে আজও বহাল তবিয়তে পৃথিবীতে বিরাজ করছে।

ডাইনোসরের মত জীবও হারিয়ে গেছে এই পৃথিবী থেকে। কিন্তু তারও অনেক আগে তৈরি হওয়া আকিয়া নামে জীবটি আজও বেঁচে আছে কেবল নিজেকে সবরকম আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার জন্য। আর তা তারা পারে তাদের টক্সিন অ্যান্টিটক্সিন সিস্টেমের জন্য।

এই বাঙালি বিজ্ঞানীদের দলটি এস অ্যাসিডোক্যালডারিয়াস নামে আরও এক আণুবীক্ষণিক জীবের পরীক্ষা করেছে। এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবেরা থাকে আগ্নেয়গিরি থেকে তৈরি উত্তপ্ত পুকুরে।

এরা নিজেদের এমনভাবে বদলে নিতে পারে যে তারা ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপ পর্যন্তও সহ্য করে নিতে পারে। সেখানে তারা দিব্যি থাকে। পরম্পরা বজায় রেখে প্রাচীন কাল থেকে বেঁচেও রয়েছে।

এ সবই সম্ভব হচ্ছে এই প্রাণিদের টক্সিন অ্যান্টিটক্সিন নামে শারীরিক প্রক্রিয়ার কারণে। যা অনেক বড় চেহারার প্রাণির পক্ষেও সম্ভব হয়না। টক্সিন অ্যান্টিটক্সিন নামে শারীরিক প্রক্রিয়া অসহ্য গরমও অনায়াসে সহ্য করে শরীরকে সেভাবে তৈরি করে নেয়।

ফলে এই প্রাণিরা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে। এই প্রক্রিয়ার কথা পৃথিবীকে প্রথম জানাল অভ্রজ্যোতি ঘোষের নেতৃত্বে এই গবেষণা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk