Kolkata

দলীয় কর্মীদের দেহে প্রায়ই মালা দিতে হচ্ছে, কেঁদে ফেললেন দিলীপ ঘোষ

Published by
News Desk

তাঁর পরিচিতি তাঁর গরম বক্তব্যের জন্য। কড়া ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ। সেই দিলীপ ঘোষেরও যে গলা কাঁপতে পারে। তিনিও যে কেঁদে ফেলতে পারেন তা দেখা গেল বিজেপির একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে বক্তব্য রাখছিলেন দিলীপ ঘোষ। ফলে সকলেই তাকিয়ে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ এদিন কী বার্তা দেন দলীয় কর্মীদের সে দিকে। কতটা গরম মন্তব্য করেন। কিন্তু হল উল্টোটা। সকলকে অবাক করে দিলীপবাবুর মত শক্ত মনের মানুষের গলা কেঁপে উঠল। নিজের আবেগ ধরে রাখতে চেয়েও খুব একটা পেরে উঠলেন না। সেই তা বেরিয়েই এল। গলা এল ধরে। পরিস্কার কান্নাটা বেরিয়ে এল সামনে। নিজেকে ধরে রাখতে একটুক্ষণ চুপও করলেন তিনি।

জন্মদিনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান দিলীপ ঘোষের, ছবি – আইএএনএস

দিলীপবাবু এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ২০১৯ লোকসভায় সাফল্য এসেছে রাজ্যে। তবে এই সাফল্য এসেছে বিজেপির অনেক দলীয় কর্মীর রক্তের বিনিময়ে, প্রাণের বিনিময়ে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই প্রায় তাঁকে কোনও না কোনও দলীয় কর্মীদের দেহে মালা পরাতে যেতে হয়। দিলীপবাবু বলেন, এটা তাঁর জন্য খুবই কষ্টের। এই কথা বলতে বলতেই তাঁর গলা কাঁপতে থাকে। কেঁদে ফেলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেন, এসবের জন্য নিজেকে তাঁর দোষী বলে মনে হয়।

দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, তাঁরা যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে হাঁটছেন সেই পথ ফুলে ফুলে ভরা নয়। তবে তাঁরা যে লক্ষ্যে এগোচ্ছেন সেই পর্যন্ত পৌঁছতে এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে। তারপরই একদিন আসবে যেদিন তাঁরা সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তিনি যে রাজ্যের ক্ষমতা দখলকে ইঙ্গিত করেছেন তা স্পষ্ট। বিজেপির দাবি, ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে তাদের ১৯ জন কর্মী খুন হয়েছেন। দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন কোণায় প্রতিবাদেও সামিল হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিরও দাবি তুলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts