ভারতের গ্রামের পুকুর, প্রতীকী ছবি
ভারত মানেই এখনও কোণায় কোণায় নতুন কিছু। যা সেই স্থানকে একদম আলাদা করে তুলেছে। রাজস্থানে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে কন্যা শিশুর জন্ম হওয়া মানেই গ্রামের মানুষের জীবনে আরও কিছুটা বুক ভরা অক্সিজেন পাওয়া।
কন্যা শিশুর জন্ম হলে এ গ্রামে আনন্দে সকলে মেতে ওঠেন। উৎসবের মেজাজে শুরু হয় আনন্দ উদযাপন। নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে সকলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন।
কন্যার জন্ম এ গ্রামে উৎসব নিয়ে আসে। সেইসঙ্গে রাজস্থানের ছোট্ট গ্রাম পিপলান্ত্রিতে মানুষ লেগে পড়েন মাটি খুঁড়তে। গত ১৫ বছর ধরে সেখানে এক নিয়ম চালু হয়েছে। গ্রামে কন্যা শিশুর জন্ম হলেই গ্রামবাসীরা এ গ্রামে নিয়ম করে ১১১টি গাছের চারা রোপণ করেন।
সেই সদ্যোজাত কন্যাসন্তান যেমন সময়ের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠে, তেমনই এই গাছগুলিও তাল মিলিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে থাকে। ঝাঁকরা হয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ডালপালা আর অগুন্তি পাতা নিয়ে। যা গ্রামে সবুজ বাড়িয়ে তোলে।
গ্রামের মানুষের জন্য বুক ভরা অক্সিজেনের যোগান বাড়ায়। পরিবেশ দূষণমুক্ত হতে থাকে। ১৫ বছর আগে শুরু হওয়া এই অপেক্ষাকৃত নতুন পরম্পরা কিন্তু এখন প্রথা হয়ে উঠেছে।
পিপলান্ত্রি গ্রামে কোনও কন্যা শিশুর প্রথম কান্না মানেই গ্রামের মানুষের মুখে হাসি। হাসি সবুজের আবাহনেরও। বলে রাখা ভাল যে এ গ্রামে বছরে প্রায় ৬০টি কন্যার জন্ম হয়। ফলে এটা অনুমেয় যে বছরে কত গাছ এই গ্রামে নতুন করে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।