ঘুমন্ত রাজ্য বলে পরিচিত দেশের এই রাজ্য, পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ
এই রাজ্যকে ঘুমন্ত রাজ্য বলা হয়। এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। যা জানার পর এটা সকলের মনে হবে এই রাজ্যেরই ঘুমন্ত রাজ্যের তকমা পাওয়া উচিত।
ভারত বৈচিত্র্যে ভরা দেশ। যেখানে নানা ধরনের মানুষের বসবাস। নানা প্রাকৃতিক পরিবেশ ও আবহাওয়া নিয়ে প্রতিটি রাজ্যই একে অপরের থেকে আলাদা। এমনই একটি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ। যাকে পাহাড়ের রাজ্য বললেও ভুল বলা হতনা।
এই রাজ্যটির চারধার অপার প্রকৃতির অঢেল উপহারে ভরা। সবুজ প্রকৃতি, গহন অরণ্য, বরফাবৃত পাহাড়, শান্ত পরিবেশ, কোলাহলহীন জনজীবন। এখানে জীবন যেন প্রকৃতির সঙ্গে চলে। মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে চালনা করতে থাকেন।
হিমাচল প্রদেশের গ্রামগুলিতে মানুষ রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। আর জেগে ওঠেন সূর্যের ফিকে আলো পূর্ব আকাশে আলতো ছোঁয়া দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে।
যেন তাঁরা প্রকৃতির সঙ্গেই ঘুমোতে যান। আবার প্রকৃতির সঙ্গেই জেগে ওঠেন। এক শান্ত, ধীর, প্রকৃতি নির্ভর জীবন কাটান হিমাচলের বাসিন্দারা।
দূষণমুক্ত এক জীবন। যেখানে মানুষ রাতের আকাশকেও বড় কাছ থেকে অনুভব করেন। এখানে জীবন জটিল নয়। অধিকাংশ মানুষ ধীর স্থির জীবন যাপন করেন। এটাই হিমাচল প্রদেশকে ঘুমন্ত রাজ্য হিসাবে পরিচিতি দিয়েছে।
এখানে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকেন। জীবনের চাহিদাকে নিয়ন্ত্রিত রেখে সরল জীবনযাপন পছন্দ করেন। পরম্পরা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ধরে রাখাই রীতি।
দেশের এই ঘুমন্ত রাজ্য সারাদিন ঘুমিয়ে কাটায় এমন নয়, এঁদের ধীর জীবনযাপন আর সন্ধে নামার পরই ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস এই হিমালয় মোড়া রাজ্যকে ঘুমন্ত রাজ্যের তকমা দিয়েছে।













