বিমানচালকরা দাড়ি রাখতে পারেননা, রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ
বিমানে অনেকেই চড়েছেন। বিমান আকাশে থাকার সময় কার্যত প্রতিটি যাত্রীর জীবন থাকে বিমানচালকের হাতে। সেই বিমানচালকরা দাড়ি রাখতে পারেননা কয়েকটি বিশেষ কারণে।
কোনও বিমানচালককেই দাড়ি রাখতে দেখা যায়নি। আর তার কারণটাও বেশ গভীর। যাত্রী সুরক্ষার কারণেই বিমানচালকরা ইচ্ছা থাকলেও দাড়ি রাখতে পারেননা। কিন্তু এখানে মনে হতেই পারে দাড়ির সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তার কী সম্পর্ক!
আসলে মাঝ আকাশে যাত্রীদের সুরক্ষার পুরো বিষয়টিই থাকে বিমানচালকের হাতে। যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিমান সংস্থাগুলিরও বিভিন্ন নিয়ম থাকে। যা বিমানচালকরা অক্ষরে অক্ষরে মানতে বাধ্য।
একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছনোর পর বিমানে অক্সিজেন কমে যায়। আর খুব বেশি উচ্চতায় যাওয়ার পর হঠাৎ করে কেবিনের ভিতরে বাতাসের চাপ কমতে শুরু করলে তখন যাত্রীসহ বিমানের সকল কর্মীকেই অক্সিজেন মাস্ক পরতে হয়। বিমানচালকও সেই নিয়মের বাইরে নন।
চালকের মুখে দাড়ি থাকলে তাঁর মাস্ক পরতে সমস্যা হবে। কারণ দাড়ির জন্য মুখ ও মাস্কের মধ্যে কিছুটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হতে পারে। আর যদি সেখান থেকে অক্সিজেন লিক করে তাহলে কর্মরত অবস্থায় চালকের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
চালকের জীবন বিপন্ন হলে বিমানকে বাঁচানো অসম্ভব। কোনও বিমান সংস্থাই চালকের কারণে যাত্রীদের সুরক্ষাকে লঘু করতে পারেনা। তাই ব্যক্তিগত কোনও অসুবিধার কারণে নয় বরং যাত্রীদের নিশ্চিন্ত যাত্রার জন্যই বিমানচালকরা দাড়ি রাখতে পারেননা।
এছাড়া স্বাস্থ্যের দিকটাও গুরুত্ব দেওয়া হয় বিমানচালকের ক্ষেত্রে। দাড়ি থাকলে তা নানা ব্যাকটেরিয়া বা আণুবীক্ষণিক জীবাণুর আঁতুড়ঘর হতে পারে। বিমানের ককপিট এক রুদ্ধ স্থান। সেখানে সেইসব হানিকারক ব্যাকটেরিয়া ও আণুবীক্ষণিক জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেজন্যও পাইলটদের দাড়ি রাখতে দেওয়া হয়না।













