ঝকঝকে দাঁতের আসল রহস্য লুকিয়ে থাকে টুথপেস্টের টিউবের নিচের রঙিন বারে
দাঁতের যত্ন নেওয়া সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দাঁতের স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে মানুষ যে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প খুঁজবেন এটাই স্বাভাবিক। বাজারেও তো পণ্যের অভাব নেই।
						সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত মাজার জন্য ব্রাশ ও টুথপেস্ট লাগে। বিভিন্ন টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনে ঝকঝকে দাঁত, সতেজ নিঃশ্বাস, অ্যান্টিক্যাভিটি এই শব্দগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শোনা যায়। এর থেকেই হিসাব করে ক্রেতারা তাঁদের পছন্দের পণ্যটি বেছে নেন।
টুথপেস্ট বা দাঁতের মাজন নির্বাচন করার সময় বেশিরভাগ মানুষই এর উপাদান, দাঁতের স্বাস্থ্যের উপর তার প্রভাব এবং পণ্যটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের উপরেই বেশি জোর দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ টুথপেস্টের স্বাদের বিষয়েও গুরুত্ব দেন।
দাঁতের মাজন কেনার সময় সচরাচর কেউ তার টিউবের নিচের অংশে খেয়াল করেন না। তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকেরই চোখ এড়িয়ে যায়। যেকোনও টুথপেস্টের টিউবের নিচের দিকে বিভিন্ন রংয়ের দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
টুথপেস্ট ভেদে রঙিন বারগুলিও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত সবুজ, নীল, লাল এবং কালো রংয়ের দাগ দেখতে পাওয়া যায়। বলা হয় প্রতিটা রংই গভীর অর্থ বহন করে। কারণ এই রংগুলি টুথপেস্টের উপাদানের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
সবুজ মানে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি টুথপেস্ট। নীল মানে টুথপেস্টটি প্রাকৃতিক উপাদান ও কিছু ওষুধের মিশ্রণে তৈরি। লাল মানে পেস্টটি প্রাকৃতিক উপাদান ও রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে তৈরি। শুধুমাত্র রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে তৈরি পেস্টে কালো রং থাকে।
এই রংগুলি আসলে একেকটি প্রাকৃতিক কোডকে নির্দেশ করে থাকে। তবে এগুলি খুব সাধারণ নির্দেশিকা। কোনও টুথপেস্টই সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক হয়না। তাই শুধুমাত্র রংয়ের কোডের উপর নির্ভর না করে উপাদান দেখে বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে টুথপেস্ট কেনাই সবচেয়ে ভাল।













