ভারতেই রয়েছে বিদেশিদের গ্রাম, যে গ্রামে ভারতীয় প্রায় নেই, শুধুই বিদেশিদের বাস
শহর হলে সেখানে বিদেশিদের আনাগোনা লেগে থাকে। কিন্তু গ্রাম বললে সেখানে বিদেশিদের আনাগোনা সীমিত। অথচ এদেশে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে বিদেশিরাই বেশি থাকেন।

ভারতের বিভিন্ন শহরে বিদেশিদের আনাগোনা সারা বছরই লেগে থাকে। সেটা বেড়াতে হোক বা কাজে বা অন্য কোনও কারণে। কিন্তু গ্রামে সাধারণত দেশের মানুষেরই বাস। সেখানকার সাদামাটা জীবন যাপন, সীমিত অর্থ উপার্জনের সুবিধা, কৃষিকাজ প্রধান ক্ষেত জমি, বিদেশিদের কদিচ কখনও আকর্ষিত করতে পারে ঠিকই, তবে তা সামান্য সময়ের জন্য।
তাও সব গ্রামের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য নয়। কোনও পর্যটন ক্ষেত্রের আশপাশের গ্রামে গিয়ে ভারতের গ্রাম কেমন হয় তা দেখার চেষ্টা করে থাকেন অনেক বিদেশি পর্যটক।
কিন্তু ভারতে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে যত ঘর রয়েছে তার প্রায় অধিকাংশই বিদেশিতে ভরা। গ্রামবাসী তাঁরাই। তাই এ গ্রামে এমন ক্যাফেটেরিয়া বা রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠেছে যেখানে ওই বিদেশিদের পছন্দের খাবার পাওয়া যায়।
প্রশ্ন হল এ গ্রামে এত বিদেশি কেন? অবশ্যই গ্রামটির চারধারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভাব নেই। এ গ্রামে যে বাড়িগুলি রয়েছে সেগুলি কিন্তু কোনও বিদেশির নয়। এ গ্রামের বাসিন্দারা বিদেশিদের কাছে সেগুলি ভাড়া দেন। নিজেরা থাকেন অন্যত্র।
এই বিদেশিদের মধ্যে আবার অধিকাংশ ইজরায়েলি। এছাড়াও অন্য দেশের বাসিন্দারাও রয়েছেন। যেহেতু গ্রামটি বিদেশিদের ঘর ভাড়া দেওয়ার জন্য পরিচিত হয়ে গেছে তাই সে খবর সহজেই পৌঁছে যায় বিদেশিদের কাছে।
তাঁরা হিমাচল প্রদেশের ধরমকোট গ্রামটিতে এসে প্রকৃতির টানে মসের পর মাস কাটিয়ে যান। ঘর ভাড়া নেন সেভাবেই। ফলে এ গ্রামে সারা বছরই বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। যাঁরা এখানে ঘর নিয়ে থেকে কয়েক মাস ধরে নানা জায়গা ঘুরে দেখেন। হিমালয়কে উপভোগ করেন।
তাই এই গ্রাম এখন ভারতের ফরেনার্স ভিলেজ। যেখানে পৌঁছলে প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে ভারতে নয়, অন্য দেশে আছেন। কারণ আশপাশে যাঁদের ঘুরতে দেখা যাবে তাঁরা অধিকাংশই বিদেশি।