ইংরাজি বর্ণমালায় শেষ যুক্ত হয় এই অক্ষরটি, পিছনে রয়েছে এক ইতিহাস
ইংরাজি বর্ণমালায় সকলে এ, বি, সি, ডি থেকে জেড অবধি পড়েই অভ্যস্ত। কিন্তু এদের মধ্যেই একদম প্রথমদিকে থাকা সত্ত্বেও একটি অক্ষর সবার শেষে যুক্ত হয়।

ইংরাজি বর্ণমালার একেবারে প্রথমদিকেই তার অবস্থান। তবে এই অক্ষরটিই ইংরাজি বর্ণমালায় যুক্ত শেষ অক্ষর হিসাবে পরিচিত। ইংরাজি বর্ণমালার ১০ নম্বর অক্ষর হল জে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই জে-ই বর্ণমালার ছাব্বিশটি অক্ষরের মধ্যে সবচেয়ে শেষে যুক্ত হয়েছে।
একটা সময় পর্যন্ত ‘আই’ এবং ‘জে’ একসাথেই উচ্চারিত হত। জে-এর আলাদা কোনও অস্তিত্ব ছিলনা। রোমান রীতি অনুযায়ী আই-এর শেষে একটা ঝাপটা দেওয়া লেজের মত করে জে-কে উচ্চারণ করা হত।
তৎকালীন ল্যাটিন এবং ইউরোপিয়ান ভাষায় আই-কে একইসঙ্গে ভাওয়েল ও কনসোনেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হত। শুনতে অনেকটা ‘ওয়াই’-এর মত লাগত। এই আই-এর শেষে রেশ রেখে যাওয়া অক্ষরের মতো করেই জে-এর অস্তিত্ব ছিল।
কিন্তু চতুর্দশ শতাব্দী থেকে কনসোনেন্ট হিসাবে জে আস্তে আস্তে নিজের একটি আলাদা পরিচয় পেতে শুরু করে। ১৫২৪ সালে আই থেকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা হয়ে এটি একটি পৃথক অক্ষর হিসাবে পরিচিতি পায়।
ইতালীয় রেনেসাঁর ব্যাকরণ পণ্ডিত জিয়ান জর্জিও ট্রিসিনো জে-কে বর্ণমালায় আলাদা করে যুক্ত করেন। তাঁকেই তাই ইংরাজি বর্ণমালায় জে-এর জনক হিসাবে ধরা হয়। এরপরই জে এবং আই ২টি আলাদা উচ্চারণ হিসাবে সামনে আসে। স্পষ্টতই ২টি আলাদা অক্ষর হিসাবে স্বীকৃতিও পায়।
পরবর্তীকালে আধুনিক ইংরাজি বর্ণমালায় আই-এর ঠিক পরেই জে নিজের জায়গা করে নেয়। উচ্চারণের ভিন্নতার কারণে বর্ণমালার দশম অক্ষর হিসাবে স্বীকৃতি পায় জে।