ল্যাংড়া আমের এমন নাম হল কেন, সে এক দারুণ কাহিনি
ল্যাংড়া আম সারা ভারতেই বিখ্যাত। স্বাদে গন্ধে ল্যাংড়ার তুলনা নেই। কিন্তু এই আমের নাম ল্যাংড়া কেন, সে কাহিনি অনেকেরই অজানা।

বাংলার মানুষের আমের মরসুমে হিমসাগর আম খাওয়ার একটা আকর্ষণ থাকে। হিমসাগর বাজার থেকে উধাও হওয়ার আগেই বাজারে ঢুকতে শুরু করে ল্যাংড়া আম। যা প্রায় শ্রাবণ মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়।
ল্যাংড়া আমের স্বাদ গন্ধ আমপ্রেমী মানুষজনের মন ভাল করে দেয়। ল্যাংড়া আম কিন্তু সবচেয়ে ভাল হয় বারাণসীর আশপাশেই। উত্তর ভারতের নানা প্রান্তে ল্যাংড়া আম হলেও একেবারে সঠিক ল্যাংড়া আম বলা হয় বারাণসী ল্যাংড়াকে।
সেই ভুবন ভোলা স্বাদের আমটির নাম ল্যাংড়া কেন? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগ্রত হয়। ভারতে আমের প্রকারের শেষ নেই। তাদের নামগুলিও বেশ সুন্দর। কিন্তু ল্যাংড়া আমের এমন নাম কেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে প্রায় ৩০০ বছর পুরনো এক কাহিনিতে।
কথিত আছে, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর কাছে এক কৃষক থাকতেন। তাঁর পায়ের কিছু সমস্যা ছিল। একটু খুঁড়িয়ে হাঁটতেন তিনি। যার জন্য তাঁকে ল্যাংড়া বলেই অনেকে সম্বোধন করতেন।
ওই কৃষক একবার তাঁর বাড়ির সামনের জমিতে একটি আমগাছ রোপণ করেন। সেই গাছ সময়ের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠে। তাতে আম ধরে। সেই আম ওই কৃষক তো বটেই আশপাশের মানুষ চেখে দেখার সুযোগ পান।
এমন এক ভুবন ভোলা স্বাদের আমে সকলেই মুগ্ধ হয়ে যান। ওই কৃষকের আমগাছের কথা আশপাশে তো বটেই এমনকি দূরেও দূরেও ছড়িয়ে পড়ে। ওই আমগাছ থেকে আরও আমগাছ রোপণ হতে থাকে এলাকা জুড়ে।
যেহেতু ওই ল্যাংড়া সম্বোধনে ডাকা কৃষকের বাড়িতেই ওই আম প্রথম হয়েছিল, তাই সেই আমের নাম হয়ে যায় ল্যাংড়া আম। যা আজও শত শত বছর পার করেও তার স্বাদের যাদুতে সকলকে মুগ্ধ করে চলেছে।