Feature

৩০০ বছর ধরে নিরামিষ খেয়ে কাটাচ্ছেন এ গ্রামের বাসিন্দারা, কারণও রয়েছে

একটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নিরামিষ খেয়ে কাটিয়ে চলেছেন। কিন্তু কখনও এই প্রাচীন রীতি ভাঙার চেষ্টা করেননি। নিরামিষ খাওয়ার কারণও রয়েছে।

Published by
News Desk

ভারতে গ্রামের সংখ্যা গুনতে গেলে তা গুনে ওঠা মুশকিল। কিন্তু এত গ্রামের ভিড়ে কয়েকটি গ্রাম তাদের নিজস্বতার জন্য সর্বজন পরিচিত হয়ে ওঠে। তাদের পরম্পরা অনেক সময় অবাক করে দেয় মানুষকে। যেমন এই গ্রামটি।

যেখানে গত ৩০০ বছর ধরে কেউ আমিষ খাবার খান না। ৩০০ বছরে বহু প্রজন্ম এসেছে। পুরো জীবন গ্রামে কাটিয়েছে। গ্রামের রীতি হস্তান্তর হয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের হাতে। যেখানে এখন বিশ্বজুড়ে নতুন প্রজন্ম পুরনো রীতি ভাঙায় বিশ্বাসী সেখানে এই গ্রামের নব্য প্রজন্মও নিরামিষ ভোজনকে জীবনের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছে।

এমনকি এই গ্রামে কোনও মেয়ে অন্য গ্রাম থেকে বিয়ে হয়ে এলে তিনিও গ্রামে আমিষ খাওয়া থেকে দূরে থাকেন। মেনে চলেন এই শতাব্দী প্রাচীন পরম্পরা।

বিহারের গয়া জেলার বিহিয়াইন নামে এই গ্রামটি সকলের পরিচিত তার নিরামিষ ভোজনের জন্য। এখন এই গ্রামের বাসিন্দা সংখ্যা ৪০০ জনের মত। তাঁরা কিন্তু সকলেই নিরামিষভোজী। কিন্তু কেন এই পরম্পরা? কেন এমন পরম্পরা তৈরি হল?

এ গ্রামের আরাধ্য দেবতা হলেন ব্রহ্মা বাবা। যিনি এই গ্রামকে যাবতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করেন, গ্রামের মানুষের উন্নতি তাঁর আশির্বাদ ছাড়া অসম্ভব। এটা গভীরভাবে বিশ্বাস করেন গ্রামের সকলে।

আমিষ ভোজন করলে তাঁর কোপে পড়তে হবে বলেই বিশ্বাস বাসিন্দাদের। সেই বিশ্বাস থেকেই গ্রামের সকলে নিরামিষ ভোজন শুরু করেন ৩০০ বছর আগে। তারপর থেকে এতদিনেও সেই বিশ্বাস ও পরম্পরা অটুট রয়েছে এখানে।

এখন এই গ্রামকে ভারতের নিরামিষ গ্রাম নাম দেওয়া হয়েছে। যা ভারতের প্রাচীন নিরামিষ ভোজনের পরম্পরাকেও একইসঙ্গে ধরে রেখেছে বলে মনে করা হয়। শুধু নিরামিষ ভোজন বলেই নয়, এ গ্রামে পেঁয়াজ, রসুন বা মদ্যপানও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts