Feature

দেশের এই গ্রামটি বিধবা গ্রাম, কারণটা চোখে জল আনবে

গোটা দেশে গ্রামের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু তারমধ্যে একটি গ্রাম রয়েছে যা বিধবাদের গ্রাম নামে পরিচিত। কারণট‌া শুনলে চোখে জল আসবে।

Published by
News Desk

এদেশে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেটি বিধবাদের গ্রাম নামে পরিচিত। নামটিও যথাযথ। কারণ এ গ্রামে বিধবা নারীর ভিড়। কিন্তু কেন এমনটা হয়? এ গ্রামটি শুকনো জায়গায় অবস্থিত। চারপাশে বেলেপাথরের খনি। পাথর, বালির জন্য বিখ্যাত এই জায়গা।

এখানে মানুষের কর্মসংস্থান বলতে খনিতে পাথর ভাঙার কাজ। অধিকাংশ গ্রামবাসী সেই কাজেই যুক্ত। ওটাই রোজগারের একমাত্র উপায়। দেখা যায় এখানকার পুরুষরা খুব দ্রুত সিলিকোসিস নামে একটি রোগে আক্রান্ত হন।

সিলিকোসিস হয় সিলিকা নামে উপাদান থেকে। যা পাথর, বালির মধ্যে একটি উপাদান হিসাবে থাকে। এই সিলিকা নিয়মিতভাবে এখানকার পুরুষদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে তাঁদের ফুসফুসে পৌঁছে যায়।

তারপর ফুসফুসে এই সিলিকার একটি চাদর পড়ে যায়। এটাই সিলিকোসিস রোগের জন্মদাতা। আর এই রোগ এমন এক রোগ যা একবার কাউকে জাপটে ধরলে তার হাত থেকে নিস্তার নেই।

রাজস্থানের বুধপুরা গ্রামের পুরুষদের এই পাথর ভাঙার কাজই কার্যত একমাত্র পেশায় রূপান্তরিত হওয়ায় পাথরের উড়তে থাকা ধুলোয় থাকা সিলিকা নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করতেই থাকে। ফলে দেখা যায় এখানকার পুরুষরা বেশিদিন বাঁচেন না।

এ গ্রামের দুই তৃতীয়াংশের কাছে নারী ৩৫ বছর বয়সের মধ্যেই স্বামীকে হারান। গ্রাম জুড়ে বিধবা নারীর সংখ্যা এমনই চোখে পড়ার মতন যে এ গ্রামের নাম ‘বিধবা গ্রাম’ হয়ে গেছে।

তবে শুধু বুধপুরাই নয়, তার আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষই কমবেশি এই রোগে আক্রান্ত হন। কারণ তাঁদের অনেকেই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এই রোগ থেকে বাঁচতে কি করতে হবে তাও নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বোঝানো হয় এসব অঞ্চলে। মানুষকে সচেতন করা হয়।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts