মায়াবী কলকাতা-র প্রকাশ অনুষ্ঠান, ছবি - রাজর্ষি চক্রবর্তী
একজন চিকিৎসকের ব্যস্ততা নিয়ে নতুন করে কাউকে বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপর যদি তিনি এমন এক চিকিৎসক হন যাঁর কাছে পৌঁছতে পারলেই রোগীর মনে হয় তিনি সেরে যাবেন। রোগীদের এই আস্থা তাঁকে আরও ব্যস্ত রাখে সারাদিন।
এরমধ্যেই সময় বার করে যে নিজের সাহিত্যিক ও কবি সত্ত্বাকে সুনিপুণভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় তা ফের একবার প্রমাণ করলেন চিকিৎসক, সাহিত্যিক ও কবি প্রভাত ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই তাঁর লেখা অনেক বই রয়েছে। তাঁর লেখা বার হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন অনেকে।
সেই প্রভাত ভট্টাচার্যের একটি নতুন কাহিনির বই ‘মায়াবী কলকাতা’ প্রকাশিত হল সেরাম অডিটোরিয়ামে। উপস্থিত ছিলেন অনেক বিশিষ্টজন। বইটি প্রকাশিত হয়েছে উড়াল প্রকাশনা সংস্থা থেকে।
স্বল্পভাষী প্রভাত ভট্টাচার্য তাঁর স্বভাবসিদ্ধ নম্র বিনয়ী ছন্দে জানালেন তাঁর মায়াবী কলকাতা কলকাতার নানা কথা তুলে ধরবে, তেমনই সেই তথ্য এগোবে একটি কাহিনির হাত ধরে। কাহিনিটি বেশ চিত্তাকর্ষক। বইটা পড়তে শুরু করলে ছাড়া যায়না।
এদিন এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানকে আরও সুন্দর করে তোলে কবিতা পাঠের আসর। অনেক কবি এদিন হাজির হয়েছিলেন তাঁদের লেখা পাঠ করতে। প্রত্যেকটি কবিতাই কিছু বলে গেল। মন ভাল করে গেল।
ফেসবুক, ইন্সটার জামানায় যে আজও বাংলা কবিতা তার নিজের জায়গায় অমলিন তা এদিনের সুন্দর সন্ধ্যায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। এদিন প্রভাত ভট্টাচার্যের লেখা মায়াবী কলকাতা ছাড়াও আরও ২টি বই প্রকাশিত হয় এখানে। একটি অনিন্দিতা মিত্রের লেখা ‘একতারা ও অচেনা বৃষ্টিগান’ এবং অন্যটি অমিত রায়ের লেখা ‘তৃতীয় তিরিশ’।