করোনা ভাইরাস, প্রতীকী ছবি
জ্যোতিষশাস্ত্রে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মহামারি, ধ্বংসলীলা ইত্যাদির উপর কোনও ভবিষ্যতবাণী ফলপ্রসূ হয়না প্রকৃতিরই কারণে তবুও সামান্য আঁচ করা যায় গ্রহাবস্থানের প্রেক্ষিতে।
অনেকক্ষেত্রে জ্যোতিষের ফলাদেশ মেলে আশ্চর্যজনক ভাবে আবার বহুক্ষেত্রে ফলাদেশ শূন্যতায় পরিণত হয়।
সমষ্টিগত ফলাফল বলার ক্ষেত্রে নিষেধ আছে জ্যোতিষশাস্ত্রে। একথা গুরুমুখে শোনা। তবে সামগ্রিকভাবে মানুষকে সতর্ক করতে জ্যোতিষশাস্ত্রের বিকল্প অন্যকোনও শাস্ত্র বা পথ আছে বলে আমার জানা নেই।
বর্তমান সময় থেকে আগামী ১৫ মে ২০২০ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয়, সারা ভারতের পক্ষে সময়টা শুভ নয়।
ভারত মকররাশির দেশ। মকরে শনি ও মঙ্গলের সহাবস্থান কারণে মহামারি, বড় অগ্নিকাণ্ড, বড় দুর্ঘটনা ইত্যাদি ঘটতে পারে। এমনটা আগামী আড়াই বছর ধরে মাঝেমধ্যেই ঘটবে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে।
তবে করোনার মারাত্মক প্রভাব থাকবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। কারণ ৯ মে নাগাদ মঙ্গল মকর থেকে কুম্ভে সরে যাবে। তারপর ধীরে ধীরে কাটবে অস্বস্তিকর অবস্থা। কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ ধনুরাশির অন্তর্ভুক্ত। ২৪ জানুয়ারি শনি ধনু থেকে মকরে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা মারাত্মক আকার না নেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
সতর্কতাই মানুষের একমাত্র সাধনা। সাধনার অপর নাম সতর্কতা। যে সাধনায় সকলেরই আত্মমগ্নতা প্রয়োজন।