যেকোনোও দেবদেবী কিংবা গুরুপুজোয় একটা কথা বহুকাল ধরে প্রচলিত আছে সেটি অব্রাহ্মণদের ক্ষেত্রে। লুচি ভোগ দিতে পারবে, অন্য ভোগ নয়। বাড়ির পুজোয় অন্নভোগ দেওয়া যাবে, তবে সেই রান্নাটা ব্রাহ্মণের হাতের হওয়া চাই।
পরম্পরাগত এই প্রথা প্রসঙ্গে স্বামী সন্তদাস বাবাজী মহারাজের কথায় –
‘রাধা, কৃষ্ণ গুরু এই তিনজনের মূর্তি একত্র থাকলে অর্থাৎ এক আসনে অথবা কুড়শীর উপর থাকলে সকলকে একসঙ্গে ইষ্ট মন্ত্রের দ্বারা অন্ন, ফলমূলাদি ও জল ভক্তিপূর্বক নিবেদন করিবে। এই তিনমূর্তিকেই একেরই তিনমূর্তিজ্ঞানে একসঙ্গে নিবেদন করিবে। তুমি কায়স্থ হইলেও নিজ ইষ্ট দেবতার পূজার অধিকারী। প্রীতিপূর্বক শুদ্ধভাবে অন্নপাক করিয়া ভগবানে অর্পণ করিয়া প্রসাদ পাইবে। তাহাতে কোনও দোষ নাই। আমার পুজ্যপাঠ গুরুদেবকেও ওই প্রকার অন্ন নিবেদন করতে পার।’ — তথ্য — শিবশংকর ভারতী