আজারবাইজানের নেফট দাশলারি শহর, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
কাস্পিয়ান সাগরের জলের তলা থেকে তেল উত্তোলন বহুদিন ধরেই চলে আসছিল। ফলে তেল উত্তোলনের জন্য যে পরিকাঠামো সাগরের অথৈ জলের ওপর তৈরি হয় তেমনটা করা ছিল। যা তৈরি করেছিল পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন বা ইউএসএসআর।
আজারবাইজানের বাকু শহর থেকে কিছুটা দূরে এই তৈল উত্তোলন কেন্দ্রে একটি স্থানে জলের ওপর ছিল একটি অয়েল প্ল্যাটফর্ম। সেটিকে ১৯৪০ সালে রাশিয়া স্থির করে নতুন রূপ দেবে। তাই সেখানে একটি শহর তৈরি করা শুরু করে দেয়।
কাস্পিয়ান সাগরের ওপর আচমকাই যেন একটি জনবসতির উপযুক্ত দ্বীপ নিজের মত করে তৈরি হয়ে গেল। যেখানে অতিকায় সব অট্টালিকা তৈরি হল। তৈরি হল জলের ওপর যাতায়াতের ব্রিজ।
এমনকি সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে সেখানে একটি সিনেমা হলও তৈরি হল। এছাড়া কমিউনিটি হল সহ মানুষের প্রয়োজনীয় নানা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয় এখানে। একটি পুরসভাও তৈরি হয়ে যায়।
সব মিলিয়ে সাগরের জলের ওপর একটি শহর কিছুদিনের মধ্যে জন্ম নিয়ে নেয়। এই শহরের নাম নেফট দাশলারি। যেখানে ৫০-এর দশকে হোটেলও তৈরি হয়েছিল।
ক্রমে সেখানে বসতি বাড়তে থাকে। মানুষের বসবাস বাড়তে থাকে। এমন করে ৫ হাজারের ওপর বাসিন্দা এই শহরকে নিজের বাসস্থান হিসাবে বেছে নেন। শহরটি শহরের মত থাকার পাশাপাশি তার চারধারে জলের তলা থেকে যেমন তেল উত্তোলন হচ্ছিল তেমন হতে থাকে।