World

লম্বা লম্বা ধাতব খাঁচা নয়, বিদ্যুতের খুঁটিতে এবার চোখ জুড়িয়ে দিচ্ছে নানা পশুপাখি

বিদ্যুতের খুঁটির হাত ধরে বিদ্যুতের তার বহু দূর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বিদ্যুতের তারবাহী সেসব ধাতব খাঁচার মত স্তম্ভ সকলেই দেখেছেন। শিল্পের ছোঁয়ায় এবার সেসব স্তম্ভ থেকে চোখ ফেরানো যাবেনা।

শিল্প চেতনা থাকলে কত সাধারণ জিনিসকেও অন্যভাবে আবিষ্কার করা সম্ভব হয়। প্রয়োজন শুধু একটা কল্পনাপ্রবণ মনের যা এসব ধারনার জন্ম দেয়। সম্প্রতি অস্ট্রিয়া গোটা বিশ্বের সামনে এরকমই এক শিল্প ভাবনাকে তুলে ধরেছে। তাদের কল্পনাশক্তির অসাধারণ ক্ষমতায় সকলেই মুগ্ধ। দেশটি কল্পনাকে বাস্তবে রূপদান করে বিদ্যুতের খুঁটির মত আপাত নীরস জিনিসকেও সকলের চোখে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

অস্ট্রিয়ায় বিদ্যুতের খুঁটির এক নতুন ধরনের পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিদ্যুতের খুঁটিগুলিকে চেনা আকারের না রেখে সেগুলিকে নানা প্রাণির আকার দেওয়া হয়েছে।

যেমন তার ধরে রাখার জন্য কখনও হরিণের মত আকার দেওয়া হয়েছে। আবার কখনও ডানা মেলা পাখির আকার দেওয়া হয়েছে। অভিনব এই চিন্তাধারার ফলে একঘেয়ে লম্বা তারের বাঁধন দেখা থেকে মুক্তি পেয়েছেন সেই দেশের মানুষজন।

অস্ট্রিয়ান পাওয়ার গ্রিড এবং মেইসি আর্কিটেক্ট ফার্ম-এর সহযোগিতায় শিল্প চেতনার সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইঞ্জিনিয়াররা এই কাজটি করেছেন। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাঁরা বৈদ্যুতিক তারে হরিণ এবং সারস, এই ২ রকম প্রাণির সূক্ষ্ম অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন।

হরিণটি আল্পসের অরণ্যঘেরা পাদদেশের প্রতীক এবং সারসটি বার্গেনল্যান্ডের বার্ষিক পাখি পরিদর্শনকে নির্দেশ করে। পুরনো যুগের বিদ্যুতের খুঁটিগুলিকে এখন সকলে চেয়ে দেখছেন।

২০২৫ সালের রেড ডট অ্যাওয়ার্ড-এ এই প্রকল্প পুরস্কৃতও হয়েছে। এই নতুন ভাবনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ যেমন হচ্ছিল তেমনই হচ্ছে, কিন্তু একই সঙ্গে বিদ্যুতের মামুলি খুঁটিগুলিকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রও করে তোলা সম্ভব হয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *