ফাইল : অস্ট্রেলিয়ার সিডনির সমুদ্রসৈকত, ছবি - আইএএনএস
বাড়ি থেকে যত দ্রুত সম্ভব পালাতে হবে। বাড়ির মায়া ত্যাগ করে বরং যা প্রয়োজনীয় সেগুলি গুছিয়ে নিয়ে পালাতে হবে। আর সেটাও সময় যতটা সম্ভব কম নষ্ট করে। এমনই আহ্বান জানাল প্রশাসন।
একটি বিশাল অঞ্চল জুড়ে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাসিন্দারা চাইলে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে পারেন। ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা বৃদ্ধি কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে চালাচ্ছে প্রশাসন।
২৭০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যত শহর গ্রাম রয়েছে সেখানকার সকল বাসিন্দার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু কি এমন হল যে এমনভাবে প্রশাসনকে এত মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সতর্কতা জারি করতে হল?
ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপূর্ব প্রান্তের টাউনসভিল থেকে বাবিন্দা পর্যন্ত সমুদ্রের ধার ধরে ছড়িয়ে থাকা সব শহর গ্রামের জন্যই এই ঘোষণা। কারণটা বৃষ্টি। এক এমন বৃষ্টি যা মাত্র ১৮ ঘণ্টায় ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে।
তাই অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দফতরের অনুমান খুব দ্রুত এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে হড়পা বান চরম আকার নিতে চলেছে। যা ভাসিয়ে নিয়ে যাবে বাড়িঘর, গাছপালা, দোকানপাট। এতটাই শক্তিশালী হবে সেসব হড়পা বান। তাই প্রাণ বাঁচাতে সকলকে দ্রুত বাড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই ঘোষণার মধ্যেই হড়পা বানের দাপট শুরু হয়ে যায়। খুব দ্রুত প্রশাসনের তরফেও মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যথাসাধ্য বন্দোবস্ত করা হয়।
কুইন্সল্যান্ডের কাছে সমুদ্রের ওপর তৈরি হয়েছে ৩টি ঘূর্ণিঝড়। তার জেরেই এমন অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। আর তার হাত ধরেই হড়পা বানের দাপটে আপাতত লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা